ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডনে পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১০জুন মঙ্গলবার লন্ডন সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।
ইউনূসের সঙ্গে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মেটাতে চান হাসিনার বোনঝি! দেখা করতে চেয়ে পাঠালেন চিঠি
সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে প্রফেসর ড. ইউনুস ও তাঁর সফর সঙ্গীরা সেন্ট্রেল লন্ডনের Dorchester Hotel ( 53 Park Lane W1K 1QA) পৌঁছান। প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে তাঁর সাথে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন সহ ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সেন্টজেমসেস প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহন করবেন। এছাড়াও তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার ষ্টার মার এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমারে সাথে দেখা করার কথা রয়েছে।
ইউনুস সরকারকে সহায়তা না, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি
ইউনুস লন্ডন আসছেন জেনে তাঁকে প্রতিহত করতে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ সহ প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি বড় একটি অংশ তিনি যতদিন লন্ডন থাকবেন তথোদিন লাগাতর প্রতিবাদ করার প্রস্তুতি নেয়। অদ্য ১০ জুন ২০২৫ সকাল ৭টা থেকে শত শত প্রতিবাদকারী কালো পতাকা ও বিভিন্ন ধরনের ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে হোটেলের সামনে সমবেত হয়। ‘’গো ব্যাক ইউনুস’’, ’’মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় খুনি ইউনুসের টাই নাই” জঙ্গি বাদের পৃষ্টপোষক ইউনুসের বিচার চাই’’ ইত্যাদি শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তুলে পার্ক লেন এলাকা। হিন্দূ সাধু চিম্ময় মহাপ্রভুর মুক্তির দাবীতে সনাতন ধর্মালম্বীদের একটি দল আলাদা ব্যনার হাতে প্রতিবাদ জানায়।
অন্যদিকে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামের পৃষ্টপোষকতায় সদ্য গড়ে উঠা সংগঠন রিফর্ম বাংলাদেশ, ব্রিটিশ বাংরাদেশী কোয়ালিশন ও হেফাজতে ইসলামের ৬০/ ৭০ জনের একটি গ্রুপ ইউনুসকে স্বাগত জানাতে হোটেলের সামনে ’’স্বাগত ইউনুস’’ লিখা ব্যানার নিয়ে সমবেত হয়।
আগ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টুনী গড়ে তুলে ব্রিটিশ পুলিশ। এসময় পুলিশ বেষ্টুনী উপেক্ষা করে প্রতিবাদকারীদের কেউ কেউ ইউনুসের গাড়ি বহরে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করে।