মুষলধারে বৃষ্টি ও বন্যায় এক তৃতীয়াংশ নিমজ্জিত পাকিস্তানে প্রাণহানি ১১০০ ছাড়িয়ে গেছে; মৃতদের মধ্যে ৩৮০টি শিশুও আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির এবারের এ দুর্যোগকে ‘নজিরবিহীন জলবায়ু বিপর্যয়’ হিসেবে বর্ণনা করে তাদের পাশে দাঁড়াতে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) জাতিসংঘ বিশ্বের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে।
বিপর্যয়ের মাত্রাকে ‘নজিরবিহীন’ বলার পাশাপাশি পানি শিগগিরই নামছে না বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
এ ‘নজিরবিহীন জলবায়ু বিপর্যয়ের’ প্রভাব দেখতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক এ সংস্থার এক মুখপাত্র।
এদিকে বন্যার পানিতে আটকা পড়া পর্যটকসহ ৩০০ মানুষকে হেলিকপ্টারে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আর ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে দুটি সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। যেসব স্থানে পৌঁছানো যাচ্ছে না সেখানে হেলিকপ্টার থেকে খাদ্য ফেলা হচ্ছে।
বর্ষাকালের অস্বাভাবিক প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামোগত স্থাপনা এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। বন্যায় দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ (দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ) ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
দেশটিতে গত তিন দশকের গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় চলতি বছরের আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ১৯০ শতাংশ (মোট ৩৯০.৭ মিলিমিটার) বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আর পাঁচ কোটি মানুষের বাস সিন্ধু প্রদেশ এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। কারণ এই প্রদেশে গত তিন দশকের তুলনায় ৪৬৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
দেশটির জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শেরি রেহমান বলেছেন, প্রকৃতই দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এই দুর্যোগের ভয়াবহতাকে তিনিও ‘নজিরবিহীন বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়েছেন।