পাতানো খেলার অভিযোগে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের উত্তরার আজমপুর ফুটবল ক্লাবকে রানার্সআপ ঘোষণা করা স্থগিত রেখেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রফেশনাল লিগ কমিটি। কারণ, অভিযোগটি ছিল তদন্তাধীন। তবে ক্লাবটি পাতানো ম্যাচ খেলার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছে। বাফুফের পাতানো ম্যাচ সনাক্তকরণ কমিটি আজমপুর ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পায়নি। ফলে প্রিমিয়ার লিগ খেলতে বাধা নেই আজমপুর ফুটবল ক্লাবটির।
অপর দিকে, বেটিং ও স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ পাওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (অবনমন) উত্তর বারিধারা ক্লাব ও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের দল কারওয়ান বাজার প্রগতি সংঘকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি এসব সিদ্ধান্ত নেয়।
বৈঠক শেষে জানা কমিটি জানায়, পাতানো খেলার অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার পর আজমপুর ফুটবল ক্লাব পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের রানার্সআপ দল। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফর্টিস ফুটবল ক্লাব। দলটি বাফুফের শর্ত পূরণ করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তাহলে কি আজমপুর ফুটবল ক্লাব প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারবে? এ বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘আজমপুর ফুটবল ক্লাব এখন পর্যন্ত রয়েছে। তারা যদি ক্লাব লাইসেন্সিং করে তাহলে তারা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারবে।’
শাস্তি পেলো উত্তর বারিধারা ও কারওয়ান বাজার এদিকে বেটিং ও স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে চ্যাম্পিয়নশিপে নেমে যাওয়া উত্তর বারিধারা ক্লাবকে দুই ধাপ নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলটিকে নামিয়ে দেয়া হলো দ্বিতীয় বিভাগ লিগে এবং সেখানে দুই মৌসুম খেলতে হবে। এ ছাড়া ক্লাবটিকে করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা জরিমানা।
একই অপরাধে কারওয়ান বাজার প্রগতি সংঘকে দুই ধাপ নিচে অর্থাৎ তৃতীয় বিভাগ লিগে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই লিগে তারা দুই বছর খেলবে। এই ক্লাবটিকেও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ক্লাব দু’টির বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাফুফের ডিসিপ্লিানারি কমিটি। এর মধ্যে দু’জন বিদেশি ফুটবলারও আছেন।
উত্তর বারিধারা ক্লাবের উজবেকিস্তানের ফজিলভ এবং মিশরের আদেল রহিম, গোলরক্ষক সাইফুল ইসলাম খান, আরিফ খান জয়, রাশেদ হোসেন বিপ্লব- এই ৫ ফুটবলারকে বাংলাদেশের সব ধরনের ফুটবল থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কারওয়ান বাজার প্রগতি সংঘের ৬ জন ফুটবলারকেও দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ক্লাবটির সাবেক ম্যানেজার মিজানুর রহমান, কোচ রেজাউল হক জামাল, ম্যানেজার সদিকুর রহমানকে আগামী ৫ বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া গাজীরচট ফুটবল ক্লাবের প্রতিনিধি ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের যুব দলের ম্যানেজার ইস্কান্দার মির্জাকে ফুটবল থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।