পদ্মা সেতু নিয়ে লিখেছেন একটি কবিতা। সেই কবিতাটি একটি সাদা কাগজে প্রিন্ট করেছেন। একটি প্ল্যাকার্ড বানিয়ে কবিতাটি সেখানে সেঁটেছেন। এরপর সেই প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌর শহরে হেঁটেছেন আফেন্দি নুরুল ইসলাম।
শুক্রবার বেলা এগারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল পৌর শহরের নতুন বাজার ও পুরান বাজার সড়কে প্ল্যাকার্ডটি নিয়ে হাঁটেন তিনি।
আফেন্দি নুরুল ইসলাম উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের তুরুন্তিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নান্দাইলের সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। ২০০৮ সালে শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর নেন। বর্তমানে তিনি নান্দাইল পৌরসভার চণ্ডীপাশা মহল্লায় বসবাস করছেন।
আফেন্দি নুরুল ইসলামকে প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাঁটতে দেখা শহরের একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু নিয়ে প্রবীণ এই শিক্ষকের ব্যতিক্রমী প্রচারণা অনেক পথচারীকে আকৃষ্ট করেছে। এ সময় অনেককে তাঁর কাছে এসে ‘আর সন্ধ্যা নামে না’ শিরোনামের কবিতাটি পড়তে দেখা গেছে।
নান্দাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, আফেন্দি স্যার স্থানীয় ও জাতীয় সমস্যা নিয়ে একাকী প্রতিবাদ করে আসছেন দীর্ঘ দিন ধরে। তাঁর প্রতিবাদের ধরন সব সময়ই সাধারণ মানুষের দৃষ্টি কাড়ে। প্ল্যাকার্ড বহন করে যখন তিনি সড়কে পাশ দিয়ে একাকী হেঁটে যান, তখন পথচারীরা কাছে এসে প্ল্যাকার্ডের লেখা পাঠ করে আন্দোলনের বিষয়বস্তু জানতে পারেন। অনেককে একাত্মতা পোষণ করতে দেখা যায় তাঁর দাবির সঙ্গে।
শফিকুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, আজ আফেন্দি স্যারের বহন করা প্ল্যাকার্ডটি ছিল একদম ব্যতিক্রম। তাতে লেখা ছিল না কোনো প্রতিবাদের ভাষা। তিনি সেখানে ফুটিয়ে তুলেছেন একটি কবিতা—যাতে ছিল পদ্মা সেতুর স্তুতি এবং দক্ষিণের সঙ্গে উত্তরের বন্ধনের কথা। কবিতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি।
জানতে চাইলে আফেন্দি নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, তখন কয়েকবার পদ্মা নদী দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। কিন্তু প্রমত্ত পদ্মার ওপারে সেতু হবে, তা ছিল আমার কাছে অবিশ্বাস্য। মুজিবের বেটি সব সম্ভব করেছেন। উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা পদ্মা সেতুও যেন আজ শেখ হাসিনার প্রশংসা করছে।’