বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ২০২৪ এর জুলাই গণ-বিরোধী অভ্যূত্থানকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে অন্তবর্তি কালীন সরকারের পৃষ্টপোষকতায় ফটোগ্রাফার শহীদুল আলমরা দেশে বিদেশে নানামুখি প্রচার প্রচারণা চলছে। সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত শহীদুল আলমসহ কয়েকজন এজেন্ট ও বিদেশেী লবিষ্টরা এনিয়ে বেশ সক্রিয়।
বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে সরকার বিরোধী ফটোগ্রাফার সহিদুল আলম এর বেশ কয়েকটি আলোকচিত্র নিয়ে তাঁর তৈরী করা ‘‘পোস্ট রেভ্যুলেশন বাংলাদেশ’’ শিরোনামে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তৈরী তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ১৬মে ২০২৫ লন্ডনের তিনটি ভ্যানুতে প্রদর্শন করা হয়। সেই সাথে কয়েকজন বিদেশী লবিষ্ট কর্তক আয়োজন করা হয় এনিয়ে প্যানেল ডিসকাশন। ১৯মে হাউজ অব কমন্সে ‘দীপক কুমার গোস্বামী স্পিকিং’’ ও ‘‘আপরাইজিং বাংলাদেশী উইমেন’’ নামে দুইটি সিনেমা প্রদর্শনী হয়। হাউজ অব কমন্সে এর আয়োজক ছিলেন বাংলাদেশী বংশদ্বোত লেবার দল থেকে বহিস্কৃত ব্রিটিশ এমপি আফছানা বেগম। এসব আলোকচিত্র ও সিনেমায় অত্যন্ত সুকৌশলে বিগত সরকারকে দ্বায়ী করা হয়। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের আক্রমনের শিকার হয়ে সাধারণ মানুষ ও পুলিশ হত্যাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়।
বাংলাদেশকে এড়িয়ে কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্বের নতুন পথ বানাচ্ছে ভারত, মায়ানমারের সেই রাখাইনের বন্দর দিয়েই। - আনন্দবাজার
এসব যে বর্তমান অন্তবর্তিকালীন সরকারের একটি কুটকৌশল এর সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলে শহীদুল আলম ও সরকারের উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর দুটি ফেসবুক পোষ্ট থেকে। ব্রিটিশ এমপি সহ লন্ডনে যারা এর আয়োজক সকলেই বিগত সরকারের বিরোধী এবং বর্তমান সরকোরের লবিষ্ট হিসেবে কাজ করছেন। এনিয়ে সোচ্চার হয়েছে ‘‘ডেমোক্রেটিক রাইটস ইন্টারন্যাশনাল’’ নামের একটি সংগঠন।
১৯ মে ২০২৫ লন্ডন সময় সন্ধ্যায় হাউজ অব কমনন্সের সামনে ডেমোক্রেটিক রাইটস ইন্টারন্যাশনাল এর সদস্যরা ব্যানার ফেষ্টুন হাতে ব্রিটিশ এমপি আফসানা বেগম ও ফটোগ্রাফার শহিদুল আলমের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে বলেন, সরকারে লবিষ্ট হিসেবে কাজ করছে লেবার পার্টি থেকে বহিষ্কৃত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম, সরকারের দালাল শহিদুল আলম, ও বিদেশী লবিষ্ট নয়নিকা মুখার্জী, ফারুক ডোন্ডি, ও নওশীন নূর।
আরও পড়ুন – জেএমবিএফ বলেছে বাংলাদেশের মানবাধিকার উদ্বেগজনক
প্রতিবাদকারীদের দাবী ফটোগ্রাফার শহীদুল আলম আন্তর্জাতিক মহলে জুলাই সন্ত্রাসকে ন্যায্যতা দিতেই, ড: ইউনুসের ম্যাটিকুলাস প্ল্যানের অংশ হিসাবে, তিনদিন ব্যাপী জুলাই বিপ্লবের মাহাত্ম ও আওয়ামী সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক ডকুমেন্টারী প্রদর্শন এবং আলোচনার আয়োজন করেছে।
গত ১৬ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ২০ তারিখ অব্দি এই আয়োজন চলে। এই পুরো আয়োজন মানবাধিকার লঙ্ঘনের আলোকে বিশ্বমঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে অপরাধী প্রমাণের চতুর প্রচেষ্টা। অথচ জুলাই পরবর্তী সময়ে দেশব্যাপী হত্যা ধর্ষণ, অত্যাচার, গ্রেফতার, বাক স্বাধীনতা ও প্রেস স্বাধীনতার উপর নিষেধাজ্ঞাসহ একের পর এক যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মহোৎসব চলছে তা সম্পূর্ণ গোপন করা হয়েছে। , সেসবকেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার হিসেবেই প্রচার করছে এই দেশদ্রোহী চক্র।
এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা সম্মিলিত ভাবে প্রবাসী বাঙালী পরিচয়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে জানাতে এখানে সমবেত হয়েছি।
আন্তর্জাতিক মহলে শহীদুল আলমদের মিথ্যাচারের বিপরীতে আমাদের এই প্রতিবাদ। বাংলাদেশে চলমান ধর্মীয় জঙ্গিবাদের উত্থান, নারী নির্যাতন, সংখ্যালঘু নির্যাতন, মব কিলিং সহ নানা সংবাদ শিরোনামের প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন ব্যানার নিয়ে সেখানে সমবেত হন।
সংগঠনের পক্ষে, প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শাহাদাত হোসেন, মোঃ মামুন রশিদ, সুফিয়ান আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ, মিঠুন শীল, মোঃ গাজিউর রহমান, জাবির আহমেদ, ফজলে রাব্বি স্মরণ, মোহাম্মদ আব্দুর রব, মোঃ নুরুল আমিন লিপু, ঈশা খান রাশেদ, জামাল আহমেদ খান, কাওছার চৌধুরী, ফয়েজ খান তৌহিদ সহ অনেকে।