নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মো. ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ জুন) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তিনি এ কথা বলেন।
আহসান হাবিব খান বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়া সবকিছু সুন্দর হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে একজন প্রার্থীর গায়ে হাত তুলেছে বলে আমরা জেনেছি। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কখনোই কাঙ্ক্ষিত ছিল না। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বরিশালের পরিস্থিতি শান্ত এবং স্বাভাবিক। প্রত্যেকটা কেন্দ্রে সুন্দরভাবে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। আমরা সুন্দরভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে বরিশাল নগরীর ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি ভোট কক্ষে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪ টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এই সিটিতে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৫ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন লড়ছেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম ও জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন ঘড়ি প্রতীকের মো. কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকের আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকের আলী হোসেন।