প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে চিত্রনায়ক ফেরদৌস। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়ে ঢাকা-১০ আসন থেকে লড়বেন তিনি। নির্বাচনী হলফনামার তথ্য অনুযায়ী এই অভিনেতার বার্ষিক আয় ৫০ লাখ। অন্যদিকে, তার স্ত্রী তানিয়ার বার্ষিক আয় ২ কোটি।
হলফনামা অনুযায়ী ফেরদৌসের বার্ষিক আয় ৫০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। এবং তার কোনো ব্যাংক ঋণ নেই। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে আয় ৪৭ লাখ ৯৯ হাজার ৫৮ টাকা। শেয়ার বা ব্যাংক আমানত থেকে আয় ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৩৯ টাকা। ফেরদৌসের স্ত্রী তানিয়া পেশায় পাইলট। হলফনামায় তানিয়ার আয়ের হিসাবে দেখা যায়, বছরে চাকরি করে তিনি পান ১ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৬৬১ টাকা। এছাড়া শেয়ার বা ব্যাংক আমানত থেকে ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৫০২ টাকা এবং ফ্ল্যাট বিক্রি থেকে ৩৬ লাখ ২৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ তানিয়া ফেরদৌসের মোট বার্ষিক আয় ২ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ১৬৩ টাকা।
হলফনামায় নায়ক ফেরদৌস তার স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ২৬১ টাকা। তারমধ্যে নগদ ৩১ লাখ ২৮ হাজার ৬৫৮ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ৩১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৭ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ারে বিনিয়োগ ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৫ লাখ ১৩ হাজার ৭৫৬ টাকার স্থায়ী আমানত, ৫৪ লাখ ১৮ হাজার ৫৪০ টাকার লাইফ ইন্সুরেন্স, ২০ লাখ টাকার ব্যক্তিগত গাড়ি, ১টি রোলেক্স ঘড়ি, ২০ ভরি স্বর্ণ ও ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৩১০ টাকার ব্যবসায়ের পুঁজি।
তার অকৃষি জমির মধ্যে রয়েছে- সাভারের আশুলিয়ায় ৭ কাঠা জমি, অর্জনকালীন সময়ে তার আর্থিক মূল্য ছিল ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা, আশুলিয়ায় আরও ৭ কাঠা জমি অর্জনকালীন সময়ে যেটির আর্থিক মূল্য ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, মিরপুরের বাউনিয়ায় ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ জমির অর্জনকালীন সময়ে মূল্য ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা, ধামালকোটে মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ২২৫ অযুতাংশ জমি ও ২টি ফ্ল্যাট ও কার পার্কিং।
এছাড়াও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শূণ্য দশমিক ৩৩ একর জমি (অর্জনকালীন সময়ে আর্থিক মূল্য ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা, একই এলাকায় শূণ্য দশমিক ২৬ একরের আরও একটি জমি (অর্জনকালীন সময়ে আর্থিক মূল্য ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং পূর্বাচলে ৫ কাঠার জমি যেটির অর্জনকালীন সময়ে মূল্য ১০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন ফেরদৌস।
ফেরদৌসের স্ত্রীর নগদ অর্থ রয়েছে ৪২ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩৬ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ৬৬ লাখ ৭১ হাজার ৭৮১ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ার ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৬৪ টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ড, ১৫ হাজার টাকার গ্রুপ ইন্সুরেন্স, ১৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকার লাইফ ইন্সুরেন্স। এছাড়াও রয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার গাড়ি, ৪০ ভরি স্বর্ণ, একটি রোলেক্স ঘড়ি, ১৫ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ২৫ লাখ টাকার আসবাব। অর্থাৎ ৪০ ভরি স্বর্ণ ও ঘড়ি ছাড়াও তানিয়ার ৪ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- গাজীপুরের কালিগঞ্জে ৯৩ শতাংশ জমি যেটির অর্ধেক মালিক তিনি (মূল্য ৫৬ লাখ টাকা), মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যশোরের কতোয়ালির ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ জমি (যেটি অর্ধেক মালিক তিনি), ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমি (২৫ শতাংশ মালিক), পটুয়াখালীর কলাপাড়ার শূণ্য দশমিক ১৫ একর জমি (মূল্য ১ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টাকা) ও যশোরের কতোয়ালির ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ জমি (২০ শতাংশ মালিক) ও ৩ তলা বাড়ি। এছাড়াও তানিয়ার রাজউকে ৬৭ লাখ ৮৪ হাজার ১৪২ টাকার ও বনানীর ডিওএইচএসে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকার অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।
গত ২৯ নভেম্বর হলফনামা জমা দেন ফেরদৌস। তিনি এবার প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।