ফ্রান্স, স্পেনসহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশকে শনিবার ভয়াবহ গরম মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সপ্তাহান্তে এসব দেশে যে পরিমাণ গরম পড়ছে তা পূর্বের রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে। এ কারণে ভয়াবহ দাবানলেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফ্রান্সে ইতোমধ্যে শুক্রবার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। শনিবারের তীব্র গরম জুনের তাপপ্রবাহকে প্রতিনিধিত্ব করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের আগাম প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় রোববার থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে বজ্রঝড় আঘাত হানতে পারে।
এদিকে ফ্রান্সের সরকারি আবহাওয়া দফতরের ঘোষণায় বলা হয়েছে, শুক্রবার ১১টি এলাকায় তাপমাত্রা ইতোমধ্যে পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। শনিবার কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌঁছাবে।
এ কারণে শুক্রবার বিকেলের মধ্যে ফ্রান্সের অধিকাংশ দফতর সর্বোচ্চ বা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সর্তকতার স্তরে ছিল।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে।
তিনি বিশেষ একটি হিটওয়েভ হটলাইন চালু করেছেন।
এদিকে স্কুল শিক্ষার্থীদের বাড়িতেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
ফ্রান্সের একজন আবহাওয়াবিদ বলছেন, এদেশে এই তাপপ্রবাহ আগেভাগেই পড়তে শুরু করেছে যা ১৯৪৭ সালের পর সর্বোচ্চ।
স্পেনে দাবানলে ইতোমধ্যে নয় হাজার হেক্টর এলাকা পুড়ে গেছে। প্রায় দুই শ’ লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া মধ্য স্পেনের পুও ডু ফু থিম পার্ক থেকে তিন হাজারেরও বেশি লোককে কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
কাতালোনিয়ার বনভূমিসহ আরো কিছু এলাকার আগুন নেভাতে অগ্নিনির্বাপক দলের সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতিতে কাজটি জটিল হয়ে উঠছে বলে জানা গেছে।
স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানশেজ জীবন বাজি রেখে কাজ করায় অগ্নিনির্বাপক দলের সদস্যদের প্রশংসা করেন।
এছাড়া ইতালি, ব্রিটেনেও রেকর্ড পরিমাণ তাপদাহ চলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই ইউরোপজুড়ে উষ্ণ তাপমাত্রা বিরাজমান। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সময়ের চেয়ে আগেভাগেই পড়তে শুরু করেছে।