ফ্লোরিডায় বাংলাদেশের প্রথম কনসুলেট জেনারেল ইকবাল আহমেদকে স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং ফ্লোরিডায় বসবাসকারী তার ১০জন স্কুল বন্ধু বিদায় সংবার্ধনা প্রদান করেন।
১৩ অক্টোবর Mehfil Restaurant Banquet Hall-এ অনুষ্ঠিত সংবার্ধনা অনুষ্ঠানে ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রফেসর নেছার ইউ আহমেদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখতে গিয়ে FBTV প্রতিষ্ঠাতা জনাব টিটন মালিক ও OneBlood এর জনাব মাহফুজ বলেন “জনাব ইকবাল নিষ্ঠাবান ও ব্যতিক্রমধর্মী একজন কূটনীতিবিদ, তিনি দুতাবাসের সব রকম সেবা মানুষের জন্য সহজলভ্য করেছেন। তিনি একেবারে নতুন একটা দূতাবাসকে খুব কম সময়ের মধ্যে তার আওতাধীন এলাকায় কন্সল জেনারেল-র সেবা বাংলাদেশের কমিউনিটির সর্বস্থরে ছড়িয়ে দিয়েছেন কৃতিত্বের সাথে।”
ফ্লোরিডাস্থ আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি প্রফেসর হাসান মাহফুজ বলেন। “জনাব আহমেদ শুধুমাত্র একজন সার্থক সরকারী কর্মকর্তাই না, একজন প্রকৃত জ্ঞান পিপাসু।
নোভা সাউদার্ন ইউনিভারসিটি ও লারকীন হসপিটালের রিসার্চ ভাইস প্রেসিডেন্ট ডক্টর সুলতান সালাউদ্দিন বলেন, “জনাব ইকবাল ইতিহাসের প্রতি খুবই আগ্রহী, তাই তিনি অনেক গুলো ঐতিহাসিক নিদর্শন কালেকশন করেছেন। ইতিহাসের সাথে সম্পর্ক নাই এমন একজন সরকারী কর্মকর্তার ইতিহাসে গভীর জ্ঞান খুব একটা সাধারণ ঘটনা না। এমন জ্ঞান নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রফেসর ইরতিশাদ আহমাদ ও ডক্টর সঞ্চয় পারভেজ বলেন তার কমিউনিটি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকায় তিনি খুব সহজে তার অফিসিয়াল সেবা সবার দোরগোড়ায় পৌছে দিতে পেরেছিলেন। তার এই কাজের ধারা বজায় রাখতে চাপে থাকবেন, আর এটাই তার সার্থকতা।”
গ্লোবাল সিটিজেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ডাক্তার এহসানুল করিম বলেন, “জনাব ইকবাল জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রথম সচিব থাকাকালীন তার সক্রিয় কর্ম দক্ষতায় স্মরণীয় হয়ে আছেন।”
একতারা সংগঠনের সভাপতি এমরান জনী “ইকবাল সাহেব একজন উচ্চমার্গের শিল্প জ্ঞানসম্পন্ন ও সংগীত অনুরাগী। একজন মানুষের মাঝে এতো গুলের সমাহার খুবই আশ্চর্যজনক মেধাসম্পন্ন না হলে সম্ভব না।
জনাব ইকবালের স্ত্রী সুলতানা এনি বলেন “তিনি একজন চিত্র-শিল্পী, আর তার স্বামী তাকে শতভাগ সহায়তা করেন বলেই তিনি শিল্পকর্মে নিবেদিত থাকতে পারছেন।”
সাবেক কন্সলেট জেনারেন তার এখানে কর্মকান্ডের একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরে বলেন, তিনি যখন এই অফিসে যোগদান করেন তখন এখানে শুধু সাপোর্টিং কাজ করা হতো। তিনি বলেন “আমরা প্রথম দিকে পাসপোর্ট সেবা দেয়ার জন্য ওয়াশিংটন থেকে প্রিন্ট করে নিয়ে আসতাম, কিন্তু এভাবে কন্সল সেবা দীর্ঘ সময়ের জন্য চালিয়ে নেয়া সম্ভব না। তাই আমি মন্ত্রনালায় পাসপোর্ট প্রিন্ট ইকুইপমেন্ট প্রদান করার জন্য অনুরোধ করে চিঠি দিলে তারা এক সময় সে অনুরোধ আমলে নিয়ে আমাদের অনুরোধ অনুসারে সব সুবিধা প্রধান করে। সেই থেকে আমরা আট স্টেট-এ আপনাদের দোরগোরায় কন্সলেট সেবা নিয়ে গিয়েছি। আমি আশা করি সেই সেবা অব্যাহত থাকবে। আশা করি আপনারা আমার দায়ীত্ব পালনে যে ভাবে সহায়তা করেছেন আমার পরবর্তী কনসুলেট অফিসকেও সেই ভাবেই সহায়তা করবেন।”
পরে ড. নাসের সংবার্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে ফ্লোরিডায় কনসলেট জেনারেল অফিস যখন ছিলো না তখনকার তাদের কি ভাবে ওয়াশিংটনে যেতে হতো সেসব দিনের স্মৃতি রোমন্থন করে ইকবাল সাহেব কর্মতৎপরতার সাথে তাদের সব চাহিদা পূরণ করে দেয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার শুভকামনা করে আলোচনা পর্ব সমাপ্ত করেন।
সব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন ‘লাবনী সরকার’ এবং আধুনিক সংগীত পরিবেশন করেন একতারার শিল্পী পিয়ালী শুক্লা এবং রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশোন করেন শর্মিলা ভট্টাচার্য্য।