সামাজিক সংঘটন ‘কারিগর’র আয়োজনে ফ্লোরিডার ল্যান্টানায় ২৬ মে ১৪৩১ বাংলা বর্ষবরণ উদযাপিত হয়েছে
শত শিল্পীর সমবেত কন্ঠে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বৈশাখের গান ‘এসো হে বৈশাখ’ এর সুরে সবাইকে মাতিয়ে ২৬ মে ল্যান্টানা ‘Bayant Park’ এ দুপুর ৩টায় শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত একটানা চলে।
এর পরে শতস্ফুর্ত হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেণ আগত অতিথিসকল, ছোটদের কণ্ঠে ছোটদের গান, স্থানীয় নতুন শিল্পীদের কন্ঠে প্রিয় গান মাতিয়ে রাখে সংগীত প্রেমিদের। গায়েন দলের পরিবেশনায় ছিলো কিছু মাটির গান, যা মন ভরে গ্রহন করেণ অভ্যাগতরা, আর প্রধাণ আকর্ষণ ছিলো যাত্রা পালা।
মায়ামি অবস্থিত বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল থেকে আগত প্রবাসিদের জন্য ছিলো কনসল সেবা।
কবি ‘সরকার হারুন’ বলেন “দর্শক হিসেবে আমাকে আন্দোলিত করেছে জনাব আতিকুর রহমান সাহেবের সুনিপুন দক্ষ পরিচালনায় এবং জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সংঙ্গীত পরিচালক ইমন সাহার সুর সংযোজনায় যাত্রাপালা ‘আনারকলি’ প্রানবন্ত হয়ে উঠেছিল। অভিনয়ে প্রত্যেকের জায়গায় অনবদ্য ছিলো। এটা প্রমানিত হলো দর্শক এখন সামাজিক সিনেমা-নাটক দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে, এখন দর্শকরা পোষাকী উপস্থাপন চায়। ধন্যবাদ কারিগর সংগঠনটিকে, সংগঠনটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।”
একই সাথে চলতে থেকে গারিগরের নিয়মিত সম্মাননা প্রধান পর্ব রত্নগর্ভা সম্মাননা। এবার এই পুরষ্কার প্রাপ্তরা হলেন ‘ডা. তাসমিনা শেখ’ এবং ‘মিসেস ডলি আহমেদ’।
ডা. তাসমিনা শেখ রত্নগর্ভা নির্বাচিত হওয়ার কারন হিসাবে জানা গিয়েছে, তিনি একজন চিকিৎসক তার ২ সন্তানের প্রথম জন ‘সোফিয়ান শেখ’ ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সফলতার সাথে এমবিএ করে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে কর্মরত আছেন। দ্বিতীয় সন্তান ডাঃ ইমানা শেখ, ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ফ্লোরিডা থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যায়ন শেষে ওহাইও এ রেসিডেন্সি করছেন। ‘ডা. তাসমিনা শেখ’ এর মাতা ‘আনোয়ারা চৌধুরী’ ২০১৫ সালে তার কৃতী সন্তানদের জন্য ছায়ানট কতৃক রত্নগর্ভা সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন।
এ বছরে রত্নগর্ভা পুরষ্কারের সাথে যুক্ত হয় দেশরত্ন পুরষ্কার, আর প্রথম বারে যুক্ত হওয়া এই সম্মান অর্জন করেন বিএম আতিকুজ্জামান এবং মহসিন রহমান।
উক্ত অনুষ্ঠাণে বিশেষ অতিথি হিসাবে মায়ামি কনসল জেনারেল “ইকবাল আহমেদ” উপস্থিত থেকে পুরষ্কার প্রাপ্তদের হাতে তাদের মেডেল তুলে দিয়েছেন। বাংলাদেশ কন্সলেট জেনারেলের পক্ষ থেকে আয়োজকদের হাতে স্বারক সম্মাননা তুলে দেন কনসাল জেনারেল জনাব ইকবাল আহমেদ এবং কারিগরের সিইও তাহমিদা জামান আনিস।
কারিগর এর প্রধান ‘টিপু আলম’ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন তার মূল লক্ষ্য সম্পুর্ন দেশী আমেজে একটি সুস্থ সাংকৃতিক পরিবেশ তৈরী করা, যেটা তারা চেষ্টা করছেন ২০১৫ থেকে। বৈশাখ নিয়ে বানিজ্য করার তাদের কোন পরিকল্পনা নেই।
তিনি আরও বলেছেন তাদের টিমের সবাই যদি সুস্থ এবং একত্রে থাকতে পারে তবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অন্যান্য উৎসবও পালন করার চেষ্টা করবে।