আজ সোমবার পুরান ঢাকার গির্জাগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হতে যাচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা উৎকন্ঠা-উদ্বেগের মধ্যদিয়ে পুরান ঢাকার চার্চগুলো উদযাপন করতে যাচ্ছে বড়দিন।
বড়দিন উপলক্ষে পুরান ঢাকার চারটি গির্জা লক্ষ্মীবাজারের হলিক্রস গির্জা, ঢাকা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ, আরমানিটোলার আর্মেনিয়ান গির্জা, ক্রুশের গির্জা ও শাঁখারি বাজারের সেন্ট থমাস চার্চকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গির্জায় বড়দিন উপলক্ষে প্রদর্শন করা হচ্ছে সদ্যজাত যিশু, গোশালা, যিশুর মা মেরি ও পূর্ণবয়স্ক যিশুর মূর্তি ও নানা রঙের আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
সেন্ট থমাস্ চার্চের দায়িত্বে থাকা পিটার মন্ডল বলেন, একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে সবাইকে একত্রিত করার মাধ্যমে গরিব দুঃখী সবার পাশে দাঁড়াতে হবে। এমন মূল বিষয়কে সামনে রেখে আমরা দিনটি উদযাপন করতে যাচ্ছি। বড়দিনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ তৎপর রয়েছে। তবে জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বমূল্যের ফলে এবার আমাদের সবার উৎসবটি পালন করতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কবি নজরুল সরকারি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী শাওন বিশ্বাস রিপন বলেন, বছরের একটি উৎসবই আমরা এত জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করি।
সারা বিশ্বে ২৩১ কোটি মানুষ খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারী। বাংলাদেশেও ৫ লাখেরওধিক খ্রিস্টান বাস করেন। এদেশে তাদের রয়েছে কয়েকশ বছরের ইতিহাস। ফলে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবছর পালিত হয় বড়দিন।
ঢাকা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের সহকারী পরিচালক রীনা রায় বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কঠোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে আমাদের চার্চগুলো। আমরা প্রশাসনের সর্বাত্বক সহযোগিতায় সন্তুষ্ট।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টা থেকে প্রার্থনার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর সারা বিশ্বে পালিত হয় খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এ দিনটিই যিশুর প্রকৃত জন্মদিন কিনা তা জানা যায় না গেলেও আদিযুগীয় খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে, এ তারিখের ঠিক নয় মাস পূর্বে মেরির গর্ভে প্রবেশ করেন যিশু। সম্ভবত, এই হিসাব অনুসারেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখটিকে যিশুর জন্ম তারিখ ধরা হয়।