টানা কয়েক দিন বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার ক্ষত শুকাতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিতে শুরু করেছে নানা ধরনের রোগ বালাই। এর মধ্যে পানিবাহিত রোগের প্রকোপই বেশি। তবে কোথাও কোথাও চর্মরোগও দেখা দিচ্ছে।বন্যার পানিতে বিভিন্ন ধরনের জীবণু মিশে থাকে। ফলে এই পানি এড়িয়ে চলতে হবে। নয়তো চর্মরোগ দেখা দেবে।
যেসব চর্মরোগ হতে পারে
বন্যার পানিতে দীর্ঘক্ষণ থাকলে ত্বকে খোসপাঁচড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা ছত্রাকজনিত রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। শরীর ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় থাকলে এই রোগ দেখা দিতে পারে।
স্ক্যাবিস বা খোসপাঁচড়া হলো ছোঁয়াচে রোগ। একজন থেকে পরিবারের বাকি সদস্যরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। চুলকানি এর প্রধান উপসর্গ। রাতের বেলায় চুলকানির প্রকোপ বেড়ে যায়। চুলকালে ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে ঘা তৈরি হতে পারে।
এ ছাড়া আঙুলের মাঝখানে ঘা, টিনিয়া ইনফেকশন, স্ক্যাবিস জাতীয় নানা ধরনের ত্বকের অসুখ হতে পারে।
করণীয়
– বন্যার পানিতে শরীর ভেজানো থেকে বিরত থাকতে হবে
– অ্যান্টি ফাঙ্গাল ক্রিম, সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে
– ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে
– চুলকানি থেকে বাঁচতে গোসলের পানিতে নিমপাতা দিতে পারেন
– বন্যার পানিতে হাত-পা ভিজলে বারবার কুসুমগরম সাবান পানি দিয়ে হাত-পা ধুয়ে মুছে নিতে হবে
– শুকনা কাপড় পরতে হবে
– চুলকানি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে|