বন্যা দুর্গতদের জন্য অবিলম্বে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তিনি বলেন, এই সহায়তা কার্যক্রম সরাসরি সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত করতে হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনগণের খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসার সকল দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার গণফোরাম নির্বাহী পরিষদের সভায় সভাপতির কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে বিশেষভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে বলে উল্লেখ করেন গণফোরাম সভাপতি। তিনি বলেন, নদীর পানিপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি করা যাবে না। নদী-খাল-বিল-হাওর-বাওর খনন করার দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, ভারতের সাথে রাষ্ট্রীয় জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে পানির সমস্যা সমাধানের যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু বড় বড় বুলি না আওড়িয়ে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।
এ সময় গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, সমগ্র বাজেট দুর্নীতিবাজদের লুটপাট করার সুবিধা দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। সাধারণ জনগণ পুরোপুরিভাবে উপেক্ষিত হবে। পাচারকৃত অর্থ বৈধ করার যে
সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। রাষ্ট্রের নৈতিকতা পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করতে পরিকল্পিতভাবে অনুপার্জিত আয়ে উৎসাহী করা হচ্ছে। রাষ্ট্র এতে ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন হবে এবং তলাবিহীন ঝুড়িতে রূপান্তরিত হবে। এ বাজেট দুর্নীতিবাজ-লুটেরাদের পক্ষের বাজেট, গণফোরাম এ বাজেট প্রত্যাখ্যান করছে।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, সাধারণ জনগণ যখন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত, তখন আপনারা তথাকথিত উন্নয়নের নামে আনন্দমিছিল বের করে জনতার সাথে তামাশা করছেন। পদ্মা সেতুর জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বরাদ্দ অর্থ বন্যা দুর্গতদের জন্য ও ভবিষ্যৎ দুর্যোগ মোকাবিলায় বরাদ্দ করুন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীন ছাড়া কোনো সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ নেই। এই অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকারকে মসনদে রেখে ভোট ইভিএমে হবে নাকি হবে না- এই আলোচনা অর্থহীন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আবদুল কাদের ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক।