বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ভেসে উঠছে। এর মধ্যে রোপা আমন বীজতলা, মাছের ঘের, কালভার্ট, সড়কসহ স্থানীয় অনেক বসতঘর রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) থেকে টানা বৃষ্টিতে বন্যার পানিতে বিভিন্ন বিলের কয়েক হাজার একর জমির রোপা আমন ডুবে যায়। ছয়দিন পর বন্যার পানি নামতে শুরু হলে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ভেসে উঠছে।
দীর্ঘ সময় ধরে পানিতে ডুবে থাকায় গুমাই বিলের নিম্নাঞ্চলে দেড় হাজার একরের রোপা আমন নষ্ট হয়েছে। শিলক তৈলিয়াভাঙ্গা বিল, রাজানগরের বগাবিল, হোসনাবাদ, পারুয়া সরফভাটা বিলে হাজার হাজার একরের রোপা আমন চারা পানিতে পঁচে নষ্ট হয়েছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে গুমাই বিলে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, সাড়ে ১৫ হাজার লক্ষ্যমাত্রার রাঙ্গুনিয়ায় মৌসুমের আমন চাষাবাদে বিভিন্ন বিলে ২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চারা রোপন করা হয়েছিল। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় এর একতৃতীয়াংশ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধসে এবং বন্যায় অনেক বসতঘর ভেঙে ক্ষতি হয়েছে। পুকুর ও মৎস্য প্রকল্পের পুকুর ডুবে কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।
উপজেলার পারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন জানান, ইউনিয়নের কোকানিয়া, উত্তর পারুয়ায় চারটি মাটির বসতঘর বন্যার পানিতে ধসে গেছে এবং জঙ্গল পারুয়া ও সোনাইছড়ি এলাকায় ছয়টি ঘর পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
বেতাগী ইউপি চেয়ারম্যান সফিউল আলম জানান, গুনগুনিয়া বেতাগী গ্রামের পশ্চিমপাড়া সড়কে কালভার্ট বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে গেছে।
চন্দ্রঘোনা কদমতলি ইউনিয়নের কলাবাইজ্যাঘোনা এলাকায় পাহড় ধসে এবং বনগ্রামে বণ্যের পানিতে অনেকের বাড়িঘর ভেসে গেছে। এছাড়া ইউনিয়নের মিশন এলাকায় পাহাড়ে কৃঞ্চ মন্দির ধসে গেছে।
উপজেলার হোসনাবাদ, রাঙ্গুনিয়া, পারুয়া, লালানগর, ইসলামপুর, দক্ষিণ রাজানগর, লালানগর ইউনিয়নের বন্যাকবলিত গ্রামীণ রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানির স্রোতে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের অর্ধ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতি হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউলগনি ওসমানি বলেন, আগেভাগে সতর্কতা জারি করায় পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ইউনিয় পরিষদে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনসহ ত্রাণ সহায়তা ও রাস্তাঘাটের মেরামতের প্রক্রিয়া চলছে।