বরগুনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গণহারে পেটানোর ঘটনায় পুলিশের বাড়াবাড়ি ছিল। মন্ত্রী পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে উপস্থিত পুলিশের ভূমিকার বিষয়টি তদন্তে জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ তিন কর্মকর্তার সমন্বয়ে সোমবার রাতে এ কমিটি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যেমন দেখেছেন। এটা একটা তদন্ত কমিটি হয়েছে, এটা শেষ হয়ে আসুক। আমার কাছে মনে হয়েছে, এটা এতটা বাড়াবাড়ি হওয়া উচিৎ হয়নি। কার বাড়াবাড়ি সেটা ইনভেস্টিগেশনে বের হবে। আমি বলছি, যেটা হয়েছে এটা হওয়া উচিত হয়নি। এটা না হলেও পারত।
এদিকে, সোমবারের ঘটনায় বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে যুক্ত করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা ও তদন্তের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ডিআইজি বলেন, বরগুনার ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ওই ঘটনায় পুলিশের পেশাদারিত্ব কতটা ছিল, ঘটনাস্থলে কী কী হয়েছে তার সব কিছুই তদন্ত করা হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বরগুনায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর পদবঞ্চিত কয়েকজন হামলা চালান। এ সময় দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে। এর ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সঙ্গে এক পুলিশ কর্মকর্তার তর্কাতর্কির ভিডিওটিও আলোচনায় নতুন মাত্রা এনেছে। পুলিশের এমন মারমুখী আচরণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এর বিচার চেয়েছেন। যদিও এর মধ্যেই বরগুনা ছাত্রলীগের সভাপতি বিবৃতি দিয়ে পুলিশের পক্ষ নিয়েছেন। তবে সামগ্রিকভাবে এর নিন্দা জানিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।