দেশের জাতীয় খেলা কাবাডিতে নারীর অংশগ্রহণ সব সময় ছিল। কিন্তু করপোরেট কাবাডির প্রচলনটা ছিল না। বারবার বলা হচ্ছিল, নারীর জন্য করপোরেট কাবাডি শুরু হলে ভালো হতো। দেরি হলেও সেটি হতে যাচ্ছে, আজই শুরু হবে নারী কাবাডি খেলোয়াড়দের নিয়ে করপোরেট কাবাডি লিগ।
কাবাডি স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যায় বহুল প্রতীক্ষার নারী কাবাডি লিগ শুরু হবে। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাই কাবাডি ফেডারেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে নারী কাবাডি লিগের উদ্যোগ নিয়েছেন। ছয়টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় চয়টি দল লড়াই করবে। বেঙ্গল গ্রুপের বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স, আহসান গ্রুপের মতলব থান্ডার, ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নরসিংদী লিজেন্ড, ব্রিজ ফার্মার ঢাকা টুয়েলভ, টেকনো মিডিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় টেকনো মিডিয়া ও নারায়ণগঞ্জ গ্ল্যাডিয়েটর্স।
সব শেষ জাতীয় দলে খেলা আইকন খেলোয়াড়েরা হচ্ছেন শারমিন সুলতানা রিমা, হাফিজা আক্তার, দিশা মনি সরকার, রেখা আক্তার, রুপালী আক্তার, স্মৃতি আক্তার। কোচ হয়েছেন আশরাফুল আলম, মশিউর রহমান, ইউনুস আলী, বজলুর রশিদ, জিয়াউর রহমান ও বাদশা মিয়া।
করপোরেট নারী কাবাডি লিগ উপলক্ষ্যে গতকাল দুপুরে বিওএ সম্মলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জানান, সারা দেশ থেকে বাছাই করে ১০০ জন খেলোয়াড় নিয়ে তিন মাস প্রশিক্ষণ দিয়ে এখান থেকে ৭৮ জনকে নিয়ে ছয়টি দল গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই খেলোয়াড়দের ৩ হাজার টাকা করে হাতখরচ দেওয়া হয়েছে। করপোরেট কাবাডি থেকে ১৫ লাখ টাকা পাওয়া যাবে, সেই টাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে বিতরণ করা হবে। প্রতি দলকে আড়াই লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আড়াই লাখ টাকা বিতরণ করা হবে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। এবারই প্রথম নারী করপোরেট লিগ হচ্ছে। আমরা চাই নারীরা টাকা বেশি পাক। যে কারণে এদিকে টাকা বাড়িয়ে দিয়েছি। আর চ্যাম্পিয়ন ১ লাখ এবং রানার্সআপ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার রাখা হয়েছে।
যেসব পৃষ্ঠপোষক এবার করপোরেট দল গঠনে এগিয়ে এসেছে, তারা ভবিষ্যতেও থাকবেন বিশ্বাস করেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে যেসব নারীর পদচারণা, তারা বেশির ভাগই উঠে এসেছেন গ্রামাঞ্চল থেকে, মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে। হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কাবাডি খেলে মেয়েরা খুব বেশি টাকা পায় না। ফুটবল-ক্রিকেটের মেয়েরা সারা বছর খেলার মধ্যে থেকে ভালো টাকা পাচ্ছে। কিন্তু আর কোনো খেলায় সেটা হচ্ছে না। করপোরেট লিগ হলে মেয়েরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। তারাও কাবাডির প্রতি আগ্রহী হবে। আমরা চাই করপোরেট লিগ প্রতি বছর হোক।’ সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক গাজী মো. মোজাম্মেলন হক।