গত শনিবার যমুনা ব্লকবাস্টারে ড্রিম ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘দিন-দ্য ডে’ সিনেমার বিশেষ শোয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।তাদের সাথে সিনেমাটি দেখেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা।ঐ দিন সেখানে সপরিবারে হাজির হয়েছিলেন মরহুম অভিনেতা আবদুল কাদেরের নাতনি শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবা। অনন্ত ও বর্ষাকে নিয়ে লুবাবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
লুবাবা লিখেছে,নায়ক অনন্ত জলিল একজন ব্যতিক্রমী মানুষ।অনেক বছর আগে গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপন করেছিলেন তিনি।যেখানে তার মুখ থেকে এমন একটি সংলাপ ছিল,যা আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে এবং যা পরবর্তীতে নায়কের সবচেয়ে সেরা উক্তি হিসেবে বিবেচিত।উক্তিটি হলো ‘অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্ত’র কাজ। বাস্তবেও অনন্ত জলিল অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন।পৃথিবীতে সব মানুষই সমালোচিত হয়,অনন্ত জলিলও তার ব্যতিক্রম নন।সমালোচনার পাশাপাশি তিনি অনেক প্রশংসিতও হন,তার অসাধারণ সব কাজ দিয়ে। তিনি যে বস্তবেও অসম্ভবকে সম্ভব করতে চেষ্টা করেন তার প্রমান প্রতিনিয়ত আমরা দেখতে পাচ্ছি।আজ তেমনই একটি মুহূর্তের সাক্ষী হলাম।
তিনি কথা দিয়েছিলেন,১০০ জন প্রতিবন্ধী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দিন-দ্য ডে সিনেমাটি দেখবেন।তিনি কথা রেখেছেন।বাংলাদেশে এর আগে কোনো নায়ক এমনটি করেননি।অনন্ত জলিলই একমাত্র নায়ক,যিনি নিজের সিনেমার প্রচারের পাশাপাশি অন্যান্য নায়কদের সিনেমার প্রচার করেছেন।সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত হাওয়া,পরাণ সিনেমা নিয়েও তিনি পোস্ট করেছেন,যা সত্যিই প্রশংসনীয়।অনন্ত জলিল বাংলা চলচ্চিত্রে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছেন,বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেছেন।যারা দিন দ্য ডে দেখেছেন তারা জানেন,মুভিটি কেমন হয়েছে।তারা অবশ্যই ভিন্ন কিছু দেখেছে।এমনকি সিনেমা নিয়ে যারা রিভিউ করে বিখ্যাত তাদের অনেকেই তা স্বীকার করেছেন।এটি একটি যাত্রা মাত্র।এর শেষ আপনি জানেন না।তিনি এই যাত্রাকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যেতে চান,যা এখনও আমরা কল্পনাও করতে পারি না।লুবাবা লিখেছে,অনেকেই বলে থাকেন তিনি কেন অন্য নায়ক-নায়িকাকে দিয়ে সিনেমা তৈরি করেন না?তাদের জন্য বলতে চাই,অপেক্ষা করুন।কত শত চমক তিনি দেখাবেন,তিনি যে অসম্ভবকে সম্ভব করেন,তা চোখ কান খোলা রাখলে একটু একটু করে দেখতে পাবেন।
সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো,এই গুণী অভিনেতা,প্রযোজক,শিল্পপতির সঙ্গে পাশাপাশি বসে বিগ বাজেটের এই সিনেমাটি উপভোগ করা।তার ভালোবাসা ও স্নেহের পরশ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে হয়।এ উপলব্ধি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।