বাংলাদেশে নারী নিপিড়ন, মবকিলিং, চাঁদাবজি, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে সরকারের ব্যর্থতা ও ধর্ষনের প্রতিবাদ এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসাররে দাবীতে লন্ডনের সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল সংগঠনে সমূহের আহবানে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনার চত্তরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৫ মার্চ ২০২৫ শনিবার লন্ডন সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে সমবেত ভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবশেন করা হয়। সাংস্কৃতিক কর্মি অসীমা দেবের সঞ্চালন স্বাগত বক্তব্য রাখেন রফিকুল হাসান খান জিন্না। এর পর উদীচি শিল্পিগোষ্টী ও সত্যেন সেন পারফর্মিং আর্টস এর শিল্পিদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় পথনাট্য ও সঙ্গীত। শিল্পিরা অন্তবর্তি কালীন সরকারের সময়ে বাংলাদেশে প্রতিদিন ঘটে যাওয়া চিন্তাই, চাঁদাবাজি, নারীনিপিড়ন ও উগ্রবাদীদের দ্বারা শিক্ষক হয়রানির চিত্র ফুটিয়ে তোলেন।
জনগনের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে সরকারের ব্যর্থতার বিবরণ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন দেওয়ান গৌস সুলতান, শেখ নূরুল ইসলাম, আবু মুসা হাসান, নাজমা বেগম, সৈয়দা নাজনিন সুলতানা শিখা, স্মৃতি আজাদ, উর্মি মাজহার, ফয়েজুর রহমান খান, আলিমুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক মনি, সাবেক ডেপুটি মেয়র শহিদ আলী, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পীকার আহবাদ হোসেন, আবিদ আলী, ডক্টর আনিসুর রহমান আনিস, সৈয়দ এনামুল ইসলাম, আব্দুল আহাদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম অকিব প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন রাজাকারদের তরুন প্রজন্ম বাংলাদেশের ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ৩০লক্ষ শীহদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের ইতিহাস, ২লক্ষ মা-বোনের ইজ্জ্বত হারানোর ইতিহাস, এক কোটি শরনার্থীর ইতিহাস, ৭২এর সংবিধান, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন , ২১ ফেব্রুয়ারী, ২৬মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর এঁরা মুছে দিতে চায়। সরকার এদের প্রশ্রয় দিচ্ছে এতে মনে হয় সরকার উগ্রবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধের সাথে আপোষ করেছে।
এই সরকার ভয়ংকার অপরাধী, সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি ও অপরাধীদের মুক্তকরে দিয়েছে। অন্যদিকে অপারেশন ডিভিল হান্টের নামে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ লালনকারীদের গ্রেফতার করছে। সরকারের অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় সরকার উগ্রদাবীদের সাথে আপোষ করে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার পায়তারা করছে। আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারন দাবী করছি। শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাই নয় আমরা মনে করি সকল উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত। নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংবিধানে কারো হাত দেবার অধিকার নেই। সরকারের উচিত কালবিলম্ভ না করে দ্রুততম সময়ের ভেতর জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা।
এসময় প্রতিবাদকারীরা ‘’ হঠাও ইউনুস বাঁচাও দেশ’’ ’’ষ্টপ ভায়লেন্স,’’ ‘’ধর্ষক আর খুনিদের বিচার করতে হবে। না হলে গদি ছাড়তে হবে’’, তুমি কে আমি কে বাঙ্গালী বাঙ্গালী’’। ‘’শিশু হত্যা বিক্ষোভ কাপুক বসুন্দরা’’ লেখা অসংখ্য ব্যানার ফেষ্টুন বহন করতে দেখা যায়।