দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি বহু বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো বড় ধরনের খাদ্য ঘাটতি ছিল না বলে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘দক্ষিণ এশিয়ার খাদ্য নিরাপত্তা হালনাগাদে’ আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। কৃষিতে বাজেট বরাদ্দ এবং সারে ভর্তুকি বাড়িয়েছে। এ ছাড়া রপ্তানিকারকদের নগদ প্রণোদনা দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, পাকিস্তানে গম ও চালের উৎপাদন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। মূলত সারের অভাব এবং তাপপ্রবাহের কারণে এটা ঘটেছে। ভুটান ও শ্রীলঙ্কায় খাদ্য সরবরাহে উলেল্গখযোগ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বোচ্চ পর্যায়ের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কবলে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো মূল্যস্ফীতির তোপের মুখে পড়লেও বাংলাদেশ সুবিধাজনক জায়গায় আছে। তবে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাত মিলে দক্ষিণ এশিয়ায় গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৫ শতাংশ হতে পারে। মূলত খাদ্য ঘাটতিই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছে ঋণদাতা সংস্থাটি।
খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংক জানায়, শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৬ শতাংশ ও বাংলাদেশে ৮ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
সংস্থাটি জানায়, শ্রীলঙ্কায় কৃষি উৎপাদন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কম হয়েছে। সারের ঘাটতি ও খাদ্য আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রভাবে এ অবস্থা হয়েছে। সার ও জ্বালানির ঘাটতি খাদ্য সরবরাহকে আরও সীমিত করবে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। তবে ভারত কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।