বাংলাদেশে মবজাষ্ট্রিজ, অন্যায়-অনিয়ম, দেশব্যাপী সহিংসতা এবংধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থান, সংখ্যালঘু নির্জাতন ও সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার দাবী জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারক লিপি প্রদান করেছে
’’এনআরবি রাইট ইন্টারন্যাশনাল ইউকে’’ নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন। ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার লন্ডন সময় দুপুর এক ঘটিকায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস ১০নং ডাউনিং ষ্ট্রীটে স্মারকলিটি পৌঁছে দেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, সেক্রটারী শাহ মুস্তাফিজুর রহমান বেলাল, মিসেস ইয়াসমিন মাহমুদ পলিন ও শিকদার আতিয়ার রসুল (কিটন)। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্মারকলিটি গ্রহন করেন ডাউনিং ষ্ট্রীটের একজন কর্মকর্তা।
স্মারক লিপিতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজী দৈনিক ডেইলী ষ্টার এর প্রতিবেদন, মানবাধিকার কর্মীদের রিপোর্ট ও মবজাষ্ট্রিজ এবং হয়রানির শিকার ভিকটিমদের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলা হয় চলতি বছরের ৫ আগষ্ট গনতান্ত্রিক আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর সমগ্রদেশব্যাপী নেমে আসে অন্ধকার।
ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তরবর্তিকালীন সরকারের ছত্র-ছায়ায়, প্রতিদিনই চলছে দেশব্যাপী মব-জাস্টিস, দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু-খৃষ্টান বৌদ্ধ, আহমদিয়া মুসলিম সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিরপপত্তা-হীনতায় ভুগছে। সমগ্র দেশে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মি, সহ বিভিন্ন পেশাজীবিরাও অনিরাপদ। তিন হাজারেরও বেশী পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। চিহ্নিত এবং সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিদের মুক্ত করে দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে মিথ্যা মামলায় কোন ওয়ারেন্ট ছাড়াই অসংখ্য মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। নিরাপদে নেই পাহাড়ি উপজাতিরাও। আদালত প্রাঙ্গনে গ্রেফতারকৃতদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। পুলিশ এর কোন প্রতিকার করছে না।
ধর্মীয় উগ্রবাদিরা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে বাংলাদেশে মুসলিম ছাড়া অন্য কোন ধর্মের মানুষের বসবাসের কোন অধিকার নেই বলে। এমন অবস্থাতে পুলিশও কোন মামলা নেয়না। মাঠে সেনাবাহিনীর সদস্য থাকলেও তারা নিষ্ক্রিয়। স্মারকলিপিতে বাংলাদেশের ব্যাপারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।