অবৈধভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী ড. ইউসুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগ, দেশব্যাপী জঙ্গি হামলা, বুলডোজার দিয়ে বাড়ীঘর ধ্বংশ, আওয়ামীলীগ সহ মুক্তমনা নিরীহ নাগরিকদের হয়রানি, কারণ ছাড়া হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার ও সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপী জঙ্গি উত্থান ঠেকাতে ব্রিটিশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্থক্ষেপ কামনা করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস ১০নং ডাউনিং ষ্ট্রীটের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ ও সাধারণ বিটিশ বাংলাদেশীরা।
১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ মঙ্গলবার লন্ডন সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত চার থেকে পাঁচ শতাধিক প্রতিবাদকারী নারী পুরুষ ইউনুসের পদত্যাগের দাবিতে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে ডাউনিং ষ্ট্রীট এলাকা। এসময় প্রতিবাদকারীরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে ইউনুসের পদত্যাগের দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন ছয় মাস চলছে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার দেশব্যাপী অন্যায় ভাবে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করছে। সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে জঙ্গি গোষ্টী চালাচ্ছে তান্ডব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নামধারী জঙ্গিরা জোর করে সাধারণ মানুষের বাসাবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে। তাদের অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছেনা কেউই।
প্রতিদিনই দেশের মানুষ মবজাষ্ট্রিজের শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের মদদে জঙ্গিরা হিন্দু ও উপজাতীয় নারীদের ধর্ষন করছে। লুঠ করছে মালামাল প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটছে। পুলিশ কারো সহায়তা এগিয়ে আসছেনা। ৫০০ আওয়ামীলীগ নেতা ও সাংবাদিককে গ্রেফতার, দেশব্যাপী হামলা চালিয়ে ১৫০০ আওয়ামীলীগ নেতা ও মাইনরিট সম্প্রদায়ের বাড়ীঘর ভেঙ্গে দিয়েছে সেই সাথে লুটপাট করেছে সম্পদ। অপারেশন ডেভিল হান্টের নামে এযাবত চার হাজারেও বেশী নীরিহ মানুষকে গ্রেফতার করা হযেছে। এই গ্রেফতারী অব্যাহত রয়েছে প্রতিদিনই বাড়ছে গ্রেফতারের সংখ্যা।
বাঙালির স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা, সকল সংগ্রামের সূতিকাগার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ শেষে গুড়িয়ে দিয়েছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ গ্রহণকারীরা বলেন ৫ফেব্রুয়ারী রাতে ঢাকাসহ দেশ জুড়ে একযোগে আওয়ামীলীগ সংশ্লিষ্টদের স্থাপনায় যত হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তা ছিল জঙ্গিগোষ্টী এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের সুপরিকল্পিত একটি পরিকল্পনা। এর পেছনে মূল কারিগর হিসেবে কাজ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুলল্লাহ, সারজিস আলম এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও ড. ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। হামলার নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এতে ড. ইউনুসের সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। প্রশাসন বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ হামলাকারীদের বাঁধা দেয়নি। পুলিশি এবং আর্মি দূর থেকে নীরবে দাড়িয়ে দেখেছে জঙ্গিদের উল্লাস।
হামলাকারীরা যখন বঙ্গবন্ধু ভবন গুড়িয়ে দিচ্ছিল তখন দেখাগেছে হামলাকারীদের কয়েকজন ওই ভবনে জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর পতাকা টানিয়েছে। দেশব্যাপী ভবন ভাংচুর করতে ব্যবহার করা হয় সরকারী এস্কেভেটর। এতে বিষয়টি পরিস্কার অন্তবর্তি কালীন সরকারের পৃষ্টপোষকতায় হামলাকারীরা দেশব্যাপী তান্ডব চালাচ্ছে। বিষয়টি আরো পরিস্কার পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদদে স্বাধীনতা বিরোধীরা ১৯৭১ এর প্রতিশোধ নিচ্ছে।
এই বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সৈয়দ সাজিদুর রহমান, ফারুক, সিলেট সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আব্দুল আহাদ চৌধুরী, সৈয়দ মোজাম্মিল আলী, জালাল উদ্দিন, হরমুজ আলী, নইম উদ্দিন রিয়াজ, সৈয়দ ছুরুক আলী, আব্দুল হান্নান, হাজী জিল্লুল হক, মারুফ চৌধুরী, শাহ শামীম আহমদ, মেগের নিগার চৌধুরী, আ.স. ম মিসবাহ, আলতাফুর রহমান মোজাহিদ, ফখরুল ইসলাম মধূ, আনজুমান আরা আঞ্জু, জামাল আহমদ খান, ফয়েজ খান তৌহিদ, মাসুক ইবনে আনিস, নাজমা বেগম, তামিম আহমদ, খালেদ আহমদ শাহীন, সরওয়ার হোসেন, জোবায়ের আহমদ, জামাল খান, প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়, স্মারকলিপিটি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে গ্রহন করেন ১০ ডাউনিং ষ্ট্রীটের একজন কর্মকর্তা।