দেশ অনির্বাচিত সরকারের হাতে গিয়েছে অনেক দিন, কিন্তু অরাজকতা থামছেই না। উল্টা দেখতে পাচ্ছি তা আরও ছড়িয়ে যাচ্ছে। এখন দেশের সর্বত্র আতংক, কে কখন কোন অজুহাতে কাকে আক্রমন করে জীবনটা হুমকিতে ফেলে দিবে তার কোন নিশ্চয়তা নাই। এ এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা।
আন্দোলনকে ছাত্র পক্ষ যুদ্ধ বলছে, যেহেতু যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে হত্যা করা অপরাধ না। উলটা হত্যাই নিয়ম! তাইতো উভয় পক্ষ সে নিয়মেই প্রতিপক্ষকে হত্যা করার উৎসবে মেতেছিলো! এখন তখনকার সরকার পক্ষের হত্যা যদি অপরাধ হয় তবে আন্দোলনকারীদের হত্যা অপরাধ হবেনা কেন? আমরা বলি না হত্যা ও অপরাধের বিচার করা যাবে না। তবে একই সাথে প্রশ্ন করি লীগ সরকারের বিচার হলে তখনকার আন্দোলনে যারা হত্যা করেছে, অসংখ্য স্থাপনা ধ্বংস করেছে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার কথা সরকার বলছে না কেন?
আমরা আগেও বলেছি সে আন্দোলন ছিলো রাজনৈতিক, রাজনীতির নেতাদের দীর্ঘ টেবিল ওয়ার্ক না করে এমন একটা আন্দোলন সংগঠিত করা সম্ভব না। এখন সেটাই প্রমান হয়েছে। প্রথম সারির সমন্বয়কদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ জামায়াতের রাজনীতির সাথে যুক্ত! বাকিদের অনেকেই ছাত্রদলের নেতা। তারা যে বলেছে এটা ছিলো অরাজনৈতিক আন্দোলন, এখন সে দাবির সত্যতা কী তবে থাকলো?
সরকার-বিরোধী আন্দোলন অপরাধ না, জনগন এবং চাপে থাকা রাজনৈতিক দল যে কোন ইসুতে আন্দোলন করতেই পারে। এর জন্য সাধারণ মানুষদের প্রবঞ্চনা করে তাদের আন্দোলনে টেনে রাস্তায় নিয়ে আসাও নতুন না। তবে যা নতুন তা হলো নিজেদের পরিচয় গোপন করে সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনে টেনে এনে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেছে তারা।
এই আন্দোলনে দেখা গিয়েছে ব্যাপক হারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে নির্বিচারে, পুলিশকে টার্গেট করে আক্রমণ করে বহু পুলিশ হত্যা করা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে। এর ফলে পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য বেপরোয়া ভাবে গুলি করেছে আর সেই গুলিতে শতশত নিরীহ মানুষ আহত ও নিহত হয়েছে। পুলিশকে যারা আক্রমন করে তাদের মারমুখী হতে বাধ্য করেছে এসব হত্যাকান্ডে তাদের কেন আইনের আওতায় নেয়া হচ্ছে না?
নেয়া হচ্ছে না, কারণ, বিজয়ী অপরাধের বিচার করে। আর সে ক্ষেত্রে বিজয়ী যদি কোন অপরাধ করেও থাকে তার দায়ভার পরাজিতরাই ভোগ করে। আওয়ামী-লীগ এর সে দায়ভারতো আছেই, সাথে তারা এতোদিন যে অপরাধ করেছে সে কর্মফলও সাথে যুক্ত হয়ে তাদের সামনে প্রায়শ্চিত্তের এক মহাসাগর হয়ে দাড়িয়েছে। এতো অপরাধের দায়ভার তারা কতদিনে শোধ করে শুদ্ধ হবে তা এখনও বলার সময় হয়নি। এখন ক্ষমতাশীনরা অপরাধ করবে, তাদের পরে যারা ক্ষমতা পাবে তাদেরও অপরাধ থাকবে, এসব মিলে লীগের অপরাধ চাপা পরলেই কেবল তারা এই দূর্দিন থেকে মুক্তি পেলেও পেতে পারে।
আমাদের মত হতভাগা দেশের রাজনীতিকদের বারবার অপরাধ করা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে, তার জন্য তারা শাস্তি ভোগ করে না তা নয়। তবে আবার বারবারই তারা সে থেকে মুক্তি পেয়ে যায়। কিন্তু তারা আর শুদ্ধ মানুষ হয় না, তাই এর ফলে দেশের যে ক্ষতি হয় তা আর পুরণও হয় না।
যদিও বলতে চাইনা, তবুও বলতে হয়। আমাদের দেশের রাজনীতিকরা সাধারণত নির্মম এবং গর্দভ টাইপের হয়ে থাকে বলেই তাদের লাজ-লজ্জা বলে কিছু থাকে না! তাই তাদের অপরাধপ্রবনতাও বন্ধ হয় না।
স্বাধীনতার পরে ১৯৭৫এ আওয়ামী-লীগ ও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতাকে হত্যার সাথে তার শীর্ষ নেতাদেরকেও হত্যা করে শক্তিশালী দলটাকে প্রায় ধুলায় মিলিয়ে দিলো। আবার সেখান থেকে ঘুরে দাড়ালো, কিন্তু শিক্ষা নিলেন না তার নেতারা। ১৯৮৩ খৃষ্টাব্দে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা নিয়ে আওয়ামী-লীগ ও বিএনপিকে প্রায় দেউলিয়া করে দিলো, এবারও তাদের শিক্ষা হলো না। ১৯৯০এ ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে এসে আওয়ামী-লীগ এবং বিএনপি মিলে সেই এরশাদের জাতীয় পার্টিকে আস্তাকুরে ফেলে দিলো, সেখান থেকে তারা আর উঠে দাঁড়াতে পারলো না। কিন্তু তারাও শুদ্ধ হয়েছে বলে কোন প্রমান নাই। ১৯৯৬এ বিএনপি আবার ভুল করলো তার জন্য মূল্যও দিলো কিন্তু তাদের শিক্ষাটা হলো না সেবারও। তার জন্য এক ভয়ংকর মুল্য দিলো সবগুলো দল ২০০৬এ।
রাজনীতিক মানেই দুষ্ট চক্র, তাই এতোগুলো আঘাতের পরেও তারা শুদ্ধ মানুষ হয়নি বলেই ২০২৪-এ আবারও এমন একটা আঘাত করতে হলো। এবারও তারা শুদ্ধ হবে এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। তাইতো বারবার গনতন্ত্র ফেরাতে অরাজনৈতিক বিবেককে হাল ধরতে হয়!
এইবারের প্রেক্ষিত একেবারেই আলাদা, কারণ রাজনৈতিক দল নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে সাধারণ ছাত্রদের নামে মাঠে নেমে তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় ভাংচুর করে পুড়িয়ে দিলো বহু স্থাপনা। সাধারণ ছাত্রদের এমন ভাংচুর করার কথা না, কারণ তারা কখনো আন্দোলন থেকে প্রাপ্ত ফলের ভাগ পায় না। তারা আবেগে মাঠে নেমে আবেগে চলে, ভাগের সময় তারা ফোকাসের বাইরে চলে যায়। তাইতো মাঠের অগনিত অংশগ্রহনকারী হিসাবের মধ্যে আর থাকতে পারেনি, কিন্তু নিষিদ্ধ ও চলমান রাজনৈতিক দলের কর্মী সমন্বয়করা ঠিকই তাদের লক্ষ্য অর্জন করে সাফল্যের ফল ভোগ করে চলছে।
এটা আর এক দূষ্টু চক্র, দেশটা লুটে চলছে, এরা এখন দেশটাকে অরাজকতার অভয়ারণ্যে পরিনত করেছে। যে যেখান থেকে পারে নিজেকে নেতা বলে প্রচার করে যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে, কেউ দেখার নাই! তারা এখন ৭১ মুছে দিতে যাচ্ছে, চাচ্ছে কী! বলা যায় মুছে দেয়ার কাজ তারা শুরু করে দিয়েছে।
সরকার মনে হচ্ছে এখনই অধৈর্য হয়ে পরেছে, তাদের পছন্দ না এমন কথা তারা শুনতে আগ্রহী না। এটা কী স্বৈরতন্ত্র না? প্রধান উপদেষ্টা মহদয়কে ৭১ নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন তারা ৭১ মুছে দিয়েছেন, ৭১ বলে এখন আর কিছু নাই! তারা নাকি রিসেট বাটন পুশ করে দিয়েছে। তার মানে কী? তিনি ৭১কে ভয় পাচ্ছেন? যদি তাই হয় তবেতো তিনি ৭১ এর বিরোধী পক্ষে ছিলেন, এমন হলেতো তার এই দেশের নাগরিকত্বই থাকে না। তাহলে সে সরকার চালান কোন অধিকারে? আবার তিনি নাকি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী! একজন বিদেশের নাগরিক সরকার প্রধান হলেন কোন আইনে?
তিনি ৭১ রিসেট করেছেন! তার মানে তার কাছে মুক্তযুদ্ধ অবৈধ ছিলো! আর যারা সেই অবৈধ কাজটা করলো আমরা তাদের মুক্তিযোদ্ধা বলে চিনি, আর তিনি তাদের দুষ্কৃতীকারী হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। দুষ্কৃতীকারী মানেইতো অপরাধী, আর যারা এতো বড় একটা অপরাধ সংগঠিত করলো তাদেরতো বিচারের আওতায় নিয়ে আসা দরকার। এখন কি জামায়াতী সমন্বয়করা তাদের পূর্ব-প্রজন্মের অপূর্ণ কাজটা সমাধা করবে? আমরা কী মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসির জন্য অপেক্ষা করব?
সরকার ছাত্রদের কাছে কৃতজ্ঞ, কারণ তাদের পথ ছাত্ররা নির্মাণ করে দিয়েছে। এরা কোন ছাত্র? একদল দামাল, পরাক্রমশালী, হটকারি, অপরিপক্ক প্রমদ বালক-বালিকা তাদের কাছে বিচক্ষণ মনে হচ্ছে? ২৪এ সরকার উৎখাতের পরে যত অপরাধ তারা করেছে ৭৫এ তার ৫%ও ঘটেনি। ৭৫এ যারা অপরাধ করেছিলো তারা সে অপরাধের মূল্য শোধ করেছে। ২৪-এ ঘটা অন্যায় ও অপরাধের দায় শোধ করার জন্যও এর কুশিলবরা কি প্রস্তুত করবে নিজেদের?
আমরা কী বারবার অন্ধকারেই পথ চলব? আমরা কী জানি কোন পথে গেলে আলোর সন্ধান পাব? আমরা মনে হয় আলোর প্রকৃতি জানিই না, তা না হলে বারবার ভুল পথের পথিক হয়ে হাটছি কেন আমরা?
দেশ অনির্বাচিত সরকারের হাতে গিয়েছে অনেক দিন, কিন্তু অরাজকতা থামছেই না। উল্টা দেখতে পাচ্ছি তা আরও ছড়িয়ে যাচ্ছে। এখন দেশের সর্বত্র আতংক, কে কখন কোন অজুহাতে কাকে আক্রমন করে জীবনটা হুমকিতে ফেলে দিবে তার কোন নিশ্চয়তা নাই। এ এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা।
আন্দোলনকে ছাত্র পক্ষ যুদ্ধ বলছে, যেহেতু যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে হত্যা করা অপরাধ না। উলটা হত্যাই নিয়ম! তাইতো উভয় পক্ষ সে নিয়মেই প্রতিপক্ষকে হত্যা করার উৎসবে মেতেছিলো! এখন তখনকার সরকার পক্ষের হত্যা যদি অপরাধ হয় তবে আন্দোলনকারীদের হত্যা অপরাধ হবেনা কেন? আমরা বলি না হত্যা ও অপরাধের বিচার করা যাবে না। তবে একই সাথে প্রশ্ন করি লীগ সরকারের বিচার হলে তখনকার আন্দোলনে যারা হত্যা করেছে, অসংখ্য স্থাপনা ধ্বংস করেছে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার কথা সরকার বলছে না কেন?
আমরা আগেও বলেছি সে আন্দোলন ছিলো রাজনৈতিক, রাজনীতির নেতাদের দীর্ঘ টেবিল ওয়ার্ক না করে এমন একটা আন্দোলন সংগঠিত করা সম্ভব না। এখন সেটাই প্রমান হয়েছে। প্রথম সারির সমন্বয়কদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ জামায়াতের রাজনীতির সাথে যুক্ত! বাকিদের অনেকেই ছাত্রদলের নেতা। তারা যে বলেছে এটা ছিলো অরাজনৈতিক আন্দোলন, এখন সে দাবির সত্যতা কী তবে থাকলো?
সরকার-বিরোধী আন্দোলন অপরাধ না, জনগন এবং চাপে থাকা রাজনৈতিক দল যে কোন ইসুতে আন্দোলন করতেই পারে। এর জন্য সাধারণ মানুষদের প্রবঞ্চনা করে তাদের আন্দোলনে টেনে রাস্তায় নিয়ে আসাও নতুন না। তবে যা নতুন তা হলো নিজেদের পরিচয় গোপন করে সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনে টেনে এনে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেছে তারা।
এই আন্দোলনে দেখা গিয়েছে ব্যাপক হারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে নির্বিচারে, পুলিশকে টার্গেট করে আক্রমণ করে বহু পুলিশ হত্যা করা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে। এর ফলে পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য বেপরোয়া ভাবে গুলি করেছে আর সেই গুলিতে শতশত নিরীহ মানুষ আহত ও নিহত হয়েছে। পুলিশকে যারা আক্রমন করে তাদের মারমুখী হতে বাধ্য করেছে এসব হত্যাকান্ডে তাদের কেন আইনের আওতায় নেয়া হচ্ছে না?
নেয়া হচ্ছে না, কারণ, বিজয়ী অপরাধের বিচার করে। আর সে ক্ষেত্রে বিজয়ী যদি কোন অপরাধ করেও থাকে তার দায়ভার পরাজিতরাই ভোগ করে। আওয়ামী-লীগ এর সে দায়ভারতো আছেই, সাথে তারা এতোদিন যে অপরাধ করেছে সে কর্মফলও সাথে যুক্ত হয়ে তাদের সামনে প্রায়শ্চিত্তের এক মহাসাগর হয়ে দাড়িয়েছে। এতো অপরাধের দায়ভার তারা কতদিনে শোধ করে শুদ্ধ হবে তা এখনও বলার সময় হয়নি। এখন ক্ষমতাশীনরা অপরাধ করবে, তাদের পরে যারা ক্ষমতা পাবে তাদেরও অপরাধ থাকবে, এসব মিলে লীগের অপরাধ চাপা পরলেই কেবল তারা এই দূর্দিন থেকে মুক্তি পেলেও পেতে পারে।
আমাদের মত হতভাগা দেশের রাজনীতিকদের বারবার অপরাধ করা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে, তার জন্য তারা শাস্তি ভোগ করে না তা নয়। তবে আবার বারবারই তারা সে থেকে মুক্তি পেয়ে যায়। কিন্তু তারা আর শুদ্ধ মানুষ হয় না, তাই এর ফলে দেশের যে ক্ষতি হয় তা আর পুরণও হয় না।
যদিও বলতে চাইনা, তবুও বলতে হয়। আমাদের দেশের রাজনীতিকরা সাধারণত নির্মম এবং গর্দভ টাইপের হয়ে থাকে বলেই তাদের লাজ-লজ্জা বলে কিছু থাকে না! তাই তাদের অপরাধপ্রবনতাও বন্ধ হয় না।
স্বাধীনতার পরে ১৯৭৫এ আওয়ামী-লীগ ও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতাকে হত্যার সাথে তার শীর্ষ নেতাদেরকেও হত্যা করে শক্তিশালী দলটাকে প্রায় ধুলায় মিলিয়ে দিলো। আবার সেখান থেকে ঘুরে দাড়ালো, কিন্তু শিক্ষা নিলেন না তার নেতারা। ১৯৮৩ খৃষ্টাব্দে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা নিয়ে আওয়ামী-লীগ ও বিএনপিকে প্রায় দেউলিয়া করে দিলো, এবারও তাদের শিক্ষা হলো না। ১৯৯০এ ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে এসে আওয়ামী-লীগ এবং বিএনপি মিলে সেই এরশাদের জাতীয় পার্টিকে আস্তাকুরে ফেলে দিলো, সেখান থেকে তারা আর উঠে দাঁড়াতে পারলো না। কিন্তু তারাও শুদ্ধ হয়েছে বলে কোন প্রমান নাই। ১৯৯৬এ বিএনপি আবার ভুল করলো তার জন্য মূল্যও দিলো কিন্তু তাদের শিক্ষাটা হলো না সেবারও। তার জন্য এক ভয়ংকর মুল্য দিলো সবগুলো দল ২০০৬এ।
রাজনীতিক মানেই দুষ্ট চক্র, তাই এতোগুলো আঘাতের পরেও তারা শুদ্ধ মানুষ হয়নি বলেই ২০২৪-এ আবারও এমন একটা আঘাত করতে হলো। এবারও তারা শুদ্ধ হবে এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। তাইতো বারবার গনতন্ত্র ফেরাতে অরাজনৈতিক বিবেককে হাল ধরতে হয়!
এইবারের প্রেক্ষিত একেবারেই আলাদা, কারণ রাজনৈতিক দল নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে সাধারণ ছাত্রদের নামে মাঠে নেমে তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় ভাংচুর করে পুড়িয়ে দিলো বহু স্থাপনা। সাধারণ ছাত্রদের এমন ভাংচুর করার কথা না, কারণ তারা কখনো আন্দোলন থেকে প্রাপ্ত ফলের ভাগ পায় না। তারা আবেগে মাঠে নেমে আবেগে চলে, ভাগের সময় তারা ফোকাসের বাইরে চলে যায়। তাইতো মাঠের অগনিত অংশগ্রহনকারী হিসাবের মধ্যে আর থাকতে পারেনি, কিন্তু নিষিদ্ধ ও চলমান রাজনৈতিক দলের কর্মী সমন্বয়করা ঠিকই তাদের লক্ষ্য অর্জন করে সাফল্যের ফল ভোগ করে চলছে।
এটা আর এক দূষ্টু চক্র, দেশটা লুটে চলছে, এরা এখন দেশটাকে অরাজকতার অভয়ারণ্যে পরিনত করেছে। যে যেখান থেকে পারে নিজেকে নেতা বলে প্রচার করে যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে, কেউ দেখার নাই! তারা এখন ৭১ মুছে দিতে যাচ্ছে, চাচ্ছে কী! বলা যায় মুছে দেয়ার কাজ তারা শুরু করে দিয়েছে।
সরকার মনে হচ্ছে এখনই অধৈর্য হয়ে পরেছে, তাদের পছন্দ না এমন কথা তারা শুনতে আগ্রহী না। এটা কী স্বৈরতন্ত্র না? প্রধান উপদেষ্টা মহদয়কে ৭১ নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন তারা ৭১ মুছে দিয়েছেন, ৭১ বলে এখন আর কিছু নাই! তারা নাকি রিসেট বাটন পুশ করে দিয়েছে। তার মানে কী? তিনি ৭১কে ভয় পাচ্ছেন? যদি তাই হয় তবেতো তিনি ৭১ এর বিরোধী পক্ষে ছিলেন, এমন হলেতো তার এই দেশের নাগরিকত্বই থাকে না। তাহলে সে সরকার চালান কোন অধিকারে? আবার তিনি নাকি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী! একজন বিদেশের নাগরিক সরকার প্রধান হলেন কোন আইনে?
তিনি ৭১ রিসেট করেছেন! তার মানে তার কাছে মুক্তযুদ্ধ অবৈধ ছিলো! আর যারা সেই অবৈধ কাজটা করলো আমরা তাদের মুক্তিযোদ্ধা বলে চিনি, আর তিনি তাদের দুষ্কৃতীকারী হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। দুষ্কৃতীকারী মানেইতো অপরাধী, আর যারা এতো বড় একটা অপরাধ সংগঠিত করলো তাদেরতো বিচারের আওতায় নিয়ে আসা দরকার। এখন কি জামায়াতী সমন্বয়করা তাদের পূর্ব-প্রজন্মের অপূর্ণ কাজটা সমাধা করবে? আমরা কী মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসির জন্য অপেক্ষা করব?
সরকার ছাত্রদের কাছে কৃতজ্ঞ, কারণ তাদের পথ ছাত্ররা নির্মাণ করে দিয়েছে। এরা কোন ছাত্র? একদল দামাল, পরাক্রমশালী, হটকারি, অপরিপক্ক প্রমদ বালক-বালিকা তাদের কাছে বিচক্ষণ মনে হচ্ছে? ২৪এ সরকার উৎখাতের পরে যত অপরাধ তারা করেছে ৭৫এ তার ৫%ও ঘটেনি। ৭৫এ যারা অপরাধ করেছিলো তারা সে অপরাধের মূল্য শোধ করেছে। ২৪-এ ঘটা অন্যায় ও অপরাধের দায় শোধ করার জন্যও এর কুশিলবরা কি প্রস্তুত করবে নিজেদের?
আমরা কী বারবার অন্ধকারেই পথ চলব? আমরা কী জানি কোন পথে গেলে আলোর সন্ধান পাব? আমরা মনে হয় আলোর প্রকৃতি জানিই না, তা না হলে বারবার ভুল পথের পথিক হয়ে হাটছি কেন আমরা?