বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মায়ামী-তে যথাযথ মর্যাদায় ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ পালন করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে কনস্যুলেটের কর্মকর্তাবৃন্দ, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে একটি বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকেও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সংঘটিত মানব ইতিহাসের জঘন্যতম ও বর্বরোচিত এ হত্যাকান্ডের শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বিশেষ বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে নারকীয় এ হত্যাকাণ্ডের উপর নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। ১৫ আগস্টের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তারা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তীতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে এগিয়ে আসার আহবান জানান। কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ তাঁর বক্তব্যে ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ড ও তৎপরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে উপস্থিত সকলকে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।