বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন সময় অপপ্রচার ও বিভ্রিান্তিমুলক মন্তব্য এবং শিষ্টাচার বহির্ভুত শব্দ ব্যবহার করে আসছে ৬মে ২০২৫ হাউজ অব কমন্সে একটি আপত্তিকর সভা আহবান করায় বাংলাদেশী বংশদ্ভুত ব্রিটিশ এমপি রূপা হকের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে বাংলাদেশী ডায়াসপারা কমিউনিটি।
আমরা হৃদয়ে ৭১ এবং কনসার্ন সিটিজেন অব বাংলাদেশ নামক দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে রূপা হক এমপির নিন্দনীয় কর্মকান্ড নিয়ে হাজার খানেক সাক্ষর সম্বলিত দুটি চিঠি লেখা হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্পীকার রাইট অনারেবল স্যার লিন্ডসে হোউলী বরাবরে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় রূপা হক এমপির এহেন কর্মকান্ড প্রমান করে তিনি একটি দেশের এবং সেই দেশের জনগনের উপর হস্তক্ষেপ করছেন। যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। এছাড়া একটি দেশের বিগত সরকার এবং সেই দেশের একটি রাজনৈদিতক দলকে ফ্যাসিষ্ট উল্লেখ করে সভা আহবান করেছেন হাউজ অব কমন্সে। আদালত কর্তৃক কোন দল, সকার বা ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত নাহলে এহেন মন্তব্য আইন পরিপন্থি।
স্পীকার বরাবরে লেখা উভয় চিঠিতে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ বলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টর একজন এমপি‘র কাছ থেকে আমরা এমনটি আশা করিনি। তার এজাতীয় শব্দ চয়ন ব্রিটিশ এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। এছাড়া বাংলাদেশ কিভাবে চলবে সেটা নির্ধারণ করবে সেই দেশের জনগণ এবং নির্বাচিত পার্লামেন্ট। বাংলাদেশ রিফর্ম নিয়ে তার এতো মাথা ব্যথার কারন কি আমাদের বোধগম্য নয়।
আসছে ৬মে হাউজ অব কমন্সের কমিটি রুম ১১এ লন্ডন টাইম বিকেল ৫.৩০ থেকে সন্ধ্যে ৮টা পর্যন্ত সিটিজেন ফর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ নামক একটি অখ্যাত সংগঠন এই সেমিনারের আয়োজন করেছে। এতে হোষ্ট হিসেবে ব্রিটিশ এমপি রূপা হক দাওয়াত পত্রে লিখেছেন Professor Yunus’s Reform Agenda and the Path to a successful democratic transition for Bangladesh. The July 2024 student led uprising in Bangladesh. And the successful over throw seventeen years of Hasina’s fascist rule have raised hopes for a democratic and egalitarian Bangladesh.
তিনি এজাতীয় শব্দ ব্যবহার করতে পারেন কিনা সে বিষয় আমরা আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি। আমাদের বিশ্বাস গণতন্ত্রের সুতিকাগার ব্রিটিশ পার্লামেনের স্পীকার হিসেবে আপনি ব্যবস্থা নেবেন।