আর্থিক লেনদেনে সম্প্রতি চালু করা ‘বাংলা কিউআর’ কোডে দৈনিক লেনদেন সীমা ওঠে গেলো। তবে সন্দেহজনক ও বড় অংকের লেনদেনগুলো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও সীমা নির্ধারণ করতে পারবে। এতদিন দৈনিক লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ২০ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
দেশের সব ব্যাংক, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটরদের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ব্যাংকগুলোর অ্যাপে ‘বাংলা কিউআর’ কোড পেমেন্ট সিস্টেম চালু করতে হবে।
জানা গেছে, নিদিষ্ট ব্যাংকের অ্যাপের মাধ্যমে মাস্টার কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট অথবা প্রিপেইড কার্ড থেকে সব ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে সমপ্রতি চালু হয় ‘বাংলা কিউআর’ কোড পেমেন্ট সিস্টেম। এর ফলে গ্রাহকদের বিভিন্ন পেমেন্ট নেটওয়ার্কের আলাদা কিউআর কোড স্ক্যান করতে হয় না। তবে এই পদ্ধতিতে লেনদেনের জন্য একক ব্যক্তিক হিসাবে দৈনিক লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ২০ হাজার টাকা ছিলো। এখন ব্যক্তি হিসেবে এই সর্বোচ্চ লেনদেনের সীমা উঠিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সন্দেহজনক ও বড় অংকের লেনদেনগুলো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলো তাদের সীমা নির্ধারণ করতে পারবে।
এর আগে, গত ১৮ জানুয়ারি ক্যাশলেস বা নগদবিহীন বাংলাদেশ প্রচারণার উদ্বোধন করা হয়। বাংলা কিউআর পরিশোধ ব্যবস্থায় ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ গঠন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর লক্ষ অর্জন এবং কিউআর কোডের পেমেন্টসহ সব ডিজিটাল লেনদেনের সুফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ১২০০ মার্চেন্ট নিয়ে মতিঝিলে এই ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগটির যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে সারা বাংলাদেশে এই উদ্যোগ এর প্রচারণা চলছে।
বাংলা কিউআর উদ্যোগে ১০টি ব্যাংক, ৩টি এমএফএস ও ৩টি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট স্কিম অংশগ্রহণ করেছে। বাংলা কিউআর এ অংশগ্রহণকারী যেকোনও ব্যাংক ও এমএফএস অ্যাকাউন্টধারী গ্রাহক বাংলা কিউআর এ অংশগ্রহণকারী যেকোনও ব্যাংক বা এমএফএস অ্যাকাউন্টধারী মার্চেন্টকে পণ্য বা সেবামূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।