মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনের তোলা সেলফি বাংলাদেশ আওয়ামী-লীগ এখন “বুফের” মত খাচ্ছে! খাচ্ছে তো খাচ্ছে পুরো গিলে খাচ্ছে, চিবানোয়ার আর সময় পাচ্ছে না যেন। কে কতটা খেতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে।
প্রচারেই প্রসার, আর সেই প্রচারেই আছে সারা বিশ্বের আওয়ামী-লীগ। সেলফির রাজনীতিতে তারা মেতেছে,
সেলফি বা ছবি তোলাটা রাজনীতির অংশ না সৌজন্যের অংশ, সেটাই করেছেন বাইডেন। এই সেলফি নিয়ে রাজনৈতিক সুনামির সপ্ন দেখে লাভ নাই। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন বহু নেতাকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছে, একত্রে বসে খেয়েছে আবার তাকেই গুপ্তঘাতক বা প্রকাশ্যে হত্যা করেছে। এরা জানে কাকে কী দিয়ে খুশি করা যায়, এই অবলা বাঙ্গালী যে কয়েকটা সেলফিতেই এমন গদগদ হয়ে লেজ নাড়াবে তা ক্রিটিকাল বাইডেনও বুঝতে পেরেছিলো কিনা সন্দেহ।
এক দিন আগে ভিয়েতনামের সাথে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের চুক্তি করেও সেখানে যে প্রশংসা পায়নি কয়টা সেলফি তুলেই বাংলার কাছ থেকে পাওয়া অভুতপূর্ব প্রশংসায় ভাসছে বাইডেন! আসলেই কি বাইডেন ভাসছেন না বাংলাকে ভাসিয়ে দিয়েছেন! এমনতো হতে পারে এই সেলফি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশীদের ভোট দখল নিলেন? হতেওতো পারে! তারতো এখন অনেক ভোট দরকার।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদের ব্লিংকেন না হোক যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন লেভেলের এক বা একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করতে পারলেই তাদের মিশন ফলপ্রসু হত, সেখানে না চাইতেই কাকতালিও ভাবে খোদ বাইডেনের সাথে সেলফি! আচ্ছা এটা কি কাকতালিও নাকি এখানেও মোদির রাজনীতি কাজ করেছে! আমারতো মনে হয় পুরাটাই মদির সাজানো খেলা!
জি-২০ জোটের সদস্য না হলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে অতিথি হিসেবে সম্মেলনে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার সম্মেলনের এক পর্যায়ে মি. বাইডেন অডিটরিয়ামে ঘুরে বেড়ানোর সময় শেখ হাসিনার সাথে মুখমুখি হয়ে যান, তখন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও উপস্থিত ছিলেন।
আর এই সেলফি সায়মা ওয়াজেদ নিজের সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটারে) প্রকাশ করে রাজনীতির মাঠে নিজেদের সাফল্য বলে প্রচার শুরু করেছেন, তবে এই সাফল্য নেতা-কর্মীরা কতটা ধরে রাখতে পারে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায় জন-সাধারণ।