রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এর আগে মধ্য লন্ডনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শ্রদ্ধা জানাতে বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে জড়ো হতে থাকেন সাধারণ মানুষ। শোকের মধ্যেই সড়কে দাঁড়িয়ে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে দেখা দেখা যায় তাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে যখন জানানো হয়, রানি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তখনই তার স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এ কারণে মৃত্যুর খবর ঘোষণার আগেই সাধারণ মানুষ রানির সুস্থতা কামনায় বাকিংহাম প্যালেসের ফটকে ফুল দিতে আসেন। রানির মৃত্যুর ঘোষণা দেয়ার পর প্যালেসের পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এ সময় প্যালেসর বাইরের চত্বরে শত শত মানুষকে শোক প্রকাশ করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন অনেকেই।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। হাঁটাচলা ও দাঁড়িয়ে থাকতে তার সমস্যা হচ্ছিল। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসলে অবস্থানকালে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মারা যান বলে ঘোষণা দেয় বাকিংহাম প্যালেস। মৃত্যুর খবর শুনে ক্যাসলের বাইরে ফুল দিয়ে রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সাধারণ মানুষ।
যুক্তরাজ্য এবং আরও ১৫টি কমনওয়েলথ রাজ্যের রানি ছিলেন তিনি। এলিজাবেথ লন্ডনের মেফেয়ারে ইয়র্কের ডিউক এবং ডাচেসের প্রথম সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৪৭ সালে তিনি গ্রিক ও ডেনমার্কের প্রাক্তন রাজপুত্র ডিউক অফ এডিনবরা ফিলিপকে বিয়ে করেন।
১৯৫২ সালে তার বাবা মারা গেলে এলিজাবেথ কমনওয়েলথের প্রধান হন এবং সাতটি কমনওয়েলথভুক্ত দেশের রেজিমেন্টের প্রধান হন। ২০১৭ সালে তিনি নীলকান্তমণি জয়ন্তীতে পৌঁছানো প্রথম ব্রিটিশ রাজ্যশাসক হয়েছিলেন।