গত ২২ মে সকালে মুনিগঞ্জ সেতুর পূর্ব পাশে টোল আদায় কক্ষের সামনে বাঁশ দিয়ে একটি ট্রাক আটকানোর চেষ্টা করে সেতুর ইজারাদারের লোকজন। বাঁশের প্রতিবন্ধকের সামনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল আটকা পড়ে। এ সময় চিতলমারীর দিক থেকে আসা ট্রাকটি অপেক্ষমাণ যানগুলোকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
ট্রাকের চাপায় মশিউর রহমান (৪২) নামের এক প্রকৌশলী নিহত হন। মশিউর ইউএনডিপির একটি প্রকল্পের প্রকৌশলী হিসেবে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
ট্রাকের চাপা দেওয়ার দৃশ্য সেখানকার দুটি সিসি টিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়। পরে সে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, ফুটেজ দেখে ট্রাকটি শনাক্ত করা হয়। পালিয়ে যাওয়ার পর চালক ও মালিক ট্রাকের রং ও নম্বর প্লেট পরিবর্তন করেন। সে অবস্থায় খুলনার তেরখাদা থেকে ট্রাকটি জব্দ করা হয়। পরে প্রযুক্তির মাধ্যমে চালককে শনাক্ত করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরিফুল হক বলেন, ঘটনার সময় ট্রাকটিতে আরও দুজন ছিলেন। মাদকাসক্ত অবস্থায় দাঁড়ালে মারধর করা হতে পারে সে শঙ্কায় প্রতিবন্ধক ভেঙে ট্রাকটি চলে যায়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। তদন্তে ট্রাকের মালিকসহ সে সময় ট্রাকে থাকা অন্যদের নাম এলে তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।