নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করায় অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
এসময় সমিতিরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্রয়লার মুরগি, গরু ও খাসির মাংসসহ সব ধরনের পণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি চেয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে ইমরান হাসান বলেন, সারা বিশ্বে একটি ক্রান্তিকাল যাচ্ছে বাজার পরিস্থিতিতে। আমরাও এ ক্রান্তিকালের বাহিরে না। বাংলাদেশের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারা টিকে থাকতে পারছে না। আমরা এখনও সরকারের কোনো উদ্যোগ দেখতে পাইনি। বাজারে প্রতিদিন মাছ ও মাংসের দাম বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে আমরা জানতে পেরেছি, সরকার গরুর মাংস রপ্তানি করবে। কিন্তু আমরা জানাতে চাই, গরুর মাংস আমাদের দেশেই পর্যাপ্ত নেই। আমরা কী করে রপ্তানি করব? বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে সবচেয়ে দামি গরুর মাংস। তাই গরু-ছাগল ও পোলট্রি ফার্মের মুরগির মাংসের দাম কমাতে অবিলম্বে আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হোক। সরকার এসব পণ্য আমদানি করার অনুমতি দিলেই বাজার স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে।
হোটেল রেস্তোরায় ৩০ শতাংশ বিক্রি কমেছে বলে দাবি করে সংগঠনটির মহাসচিব বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে বিদ্যমান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি শুল্ক ছাড় দিয়ে দ্রব্যমূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে রেস্তোরাঁ খাতে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য বিতরণের দাবি করছি। এই অর্থনৈতিক সংকটকালে রেস্তোরাঁ খাত টিকিয়ে রাখতে, ট্যাক্স ছাড়ের পাশাপাশি ট্যাক্সের হার কমানোর প্রস্তাব করছি। একই সাথে ট্যাক্স আদায়ের নামে মাঠ পর্যায়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তার দ্বারা হয়রানি থেকেও নিস্তার চাচ্ছি।
তিনি বলেন, ভ্যাট-আদায় বৃদ্ধি এবং সমপ্রতিযোগিতা নিশ্চিতের জন্য, এনবিআরের কাছে ভ্যাট আদায়ে সব রেস্তোরাঁয় ইএফডি মেশিন সরবরাহের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি স্ট্রিট ফুডসহ সব রেস্তোরাঁকে ভ্যাটের আওতায় আনতে হবে।
কর্পোরেট খামারিদের সিন্ডিকেটের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে কি না সংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা তো আছেই। তার সঙ্গে রাস্তায় চাঁদাবাজির কথা আমরা শুনেছি।