বিদায়ি সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন আরও কমেছে। কমেছে সূচক ও লেনদেনও। এছাড়া ক্রেতা না থাকায় অনেক কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে না। লেনদেন না হওয়া এসব শেয়ারের অধিকাংশই ফ্লোরপ্রাইসে আটকে আছে।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, অব্যাহত দরপতনে গত এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা কমেছে। আর গত সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১২ হাজার কোটি টাকার ওপরে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৭৫ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা।
বিদায়ি সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৩ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট। এছাড়া, ডিএসই-৩০ সূচক ১২ দশমিক ২২ পয়েন্ট ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট কমেছে। সবকয়টি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪০০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৩৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৩৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
বিদায়ি সপ্তাহে ডিএসইতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া মোট কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৪৩টির, কমেছে ১২০টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১৫টির দর। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাজারে লেনদেন কমে গেছে। ক্রেতা না থাকায় অনেক কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে না।
দেশের প্রধান এই শেয়ার বাজারে গত সপ্তাহে টাকার অঙ্কে লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং সিরামিকের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইয়াকিন পলিমার। কোম্পানিটির ৮৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানি হলো: সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ফু-ওয়াং ফুড, প্যাসিফিক ডেনিমস, এমারেল্ড অয়েল ও খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।