বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে আমদানি কমতে শুরু করেছে। রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এতে করে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৩৯ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে যা ১ হাজার ৮৮১ কোটি ডলার ছিল। তবে আর্থিক হিসাবে বড় ঘাটতি থাকায় সব মিলিয়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি বেড়ে সাড়ে ৩ গুণ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ের ব্যাল্যান্স অব পেমেন্ট বা লেনদেন ভারসাম্যের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। বাণিজ্য ঘাটতি কমার পাশাপাশি চলতি হিসাবের ঘাটতিও কমে ৫০৪ কোটি ডলারে নেমেছে। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ২৬ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৪০৩ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ কম। আর রপ্তানি ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৬৪ কোটি ডলার হয়েছে। অন্যদিকে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ২৪৫ কোটি ডলার।
জুলাই থেকে জানুয়ারি সময়ে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এসেছে ৪০৫ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা প্রায় ১১ শতাংশ কম। বাণিজ্য ঋণ ঋণাত্মক হয়েছে ২৮৪ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ৭ কোটি ডলার ইতিবাচক ছিল। অন্যান্য স্বল্পমেয়াদী ঋণ আগের চেয়ে কমেছে। মেয়াদি ঋণও কমেছে। অবশ্য সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ১২ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ৩০৭ কোটি ডলার হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ সামান্য বাড়লেও ঋণ কমে যাওয়ায় আর্থিক হিসাবে প্রায় ১২০ কোটি ডলারের ঘাটতি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হিসাবে ৮৬৪ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল। চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবে ঘাটতি মিলিয়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি বেড়ে ৭৩৯ কোটি ডলার হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ২০৫ কোটি ডলার।