গত ১৪ এপ্রিল, সোহাগকে ২ বছরের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। ৫১ পাতার রিপোর্টে ফিফা জানিয়েছে কোথায় কোথায় অনিয়ম রয়েছে। আর এ নিয়ে দেশের ফুটবল জুড়ে তোলপাড়। দেশের ফুটবলের সাধারণ সম্পাদকের নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ফুটবল জুড়ে সমালোচনা। এমন ঘটনা যেন আর কোনো দিন না ঘটে সেই কথা জানালেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন।
সোহাগ ইস্যুতে সোমবার (১৮ এপ্রিল) বাফুফেতে অনুষ্ঠিত জরুরি সভা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় বাফুফের নির্বাহী কমিটি। উপচে পড়া সাংবাদিকদের ভিড় ভবনের দোতলায় মিটিং রুমে। প্রশ্নবানে জর্জরিত হওয়ার উপক্রম সভাপতি এবং বাফুফের কর্মকর্তারা।
মূল ইস্যু ছিল সাধারণ সম্পাদক। ফিফা যেসব রিপোর্ট দিয়েছে তার নিয়ে তদন্ত করা হবে। সালাহউদ্দিন বলেন, এই ঘটনা যেন জীবনে আর না হয়।
সালাম মুর্শেদী জানিয়েছেন, সোহাগ আর কোনোদিন ফুটবলে ঢুকবেন না। সোহাগ কীভাবে দিনের পর দিন কাজকর্মে অবহেলা করেছেন। তার অবহেলার কারণে বাংলাদেশকে লজ্জার মুখোমুখি হতে হলো। সোহাগ একা দায়ী না কি আরো অনেকেই আছে সোহাগের পেছনে। নানা প্রশ্ন উঠছে। গতকালকের সংবাদ সম্মেলনে সালামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান। সালামের কমিটির কী কোনো দোষ নেই। সালাম নিজেকে নির্দোষ বলেছেন। তার কমিটির কোনো দোষ নেই দাবি করেছেন।
রিপোর্টের কোথাও না কি বাফুফের দুর্নীতির কথা বলা হয়নি। তিনি বলেন, ‘৫১ পাতার কোথাও দুর্নীতির কথা বলা হয়নি। এখানে ক্রয়ের কথা বলা হয়েছে যেটা সঠিকভাবে হয়নি। সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া থেকে ফিফার লোকজন এসেছিল তারাও সঠিক বলে গেছে। কিন্তু কয়েকটি ইস্যুতে ফিফার লোকজন সেটা মানেনি। টেন্ডার প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি।
বাফুফে গ্রাসরুট ম্যানেজার হাসান মাহমুদ বলেছিলেন শোকজ করা হয়েছে চার জনকে। এর মধ্যে সালাম মুর্শেদী স্যার আছেন। আমি এবং জাবের বিন আনসারী সোহাগ সাহেবের সঙ্গে ফিফায় গিয়েছিলাম সাক্ষী দিতে। আমাদেরকে ফিফা হতে ডাকা হয়নি।
সেই সূত্র ধরে সালাম মুর্শেদীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনার নামেও চিঠি এসেছিল। সালাম বলেন, ‘ফিফা থেকে আমাদের নামে সব সময় চিঠি আসে।