ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ কর্মসূচিতে অংশ নিতে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ৬০ জনকে আটক করেছে জেলা পুলিশ।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার, আন্তনগর এগারসিন্দুর ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে ও স্টেশন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
জানা যায়, সকাল থেকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে জেলা পুলিশসহ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির বিপুল সংখ্যক পুলিশ স্টেশনে অবস্থান নেয়। সকাল পৌনে ৮টায় তিতাস কমিউটার নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে এসে থামলে পুলিশ ট্রেনে তল্লাশি চালায়। যাদের সন্দেহ হয় ট্রেন থেকে থামিয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখে। এ সময় নরসিংদী স্টেশন থেকে রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকনের নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও ওলামাদলের প্রায় ৩০/৩৫ জন ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে বাঁধা দেয়। পুলিশের হাতে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তখন পুলিশ ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পাথরের আঘাতে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি আবুল কাশেম ভূইয়া জানান, বিএনপির শতাধিক কর্মী ট্রেনে উঠতে না পেরে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে। এতে তিন পুলিশ সদস্য পাথরের ঘাতে আহত হয়। পরে ৩৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩০ জনকে আটক করে। আটককৃতদের যাচাই বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে।