বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি সবকিছু বাঁকা চোখে দেখছে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে বলতে পারত এখন চা খাওয়ার সময় নাই, আমরা রাজপথে আন্দোলনে আছি। প্রধানমন্ত্রীর এ পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গিকে বিএনপির চালাকি কিংবা বিভ্রান্তি বলা গণতান্ত্রিক ভাষা নয়।
তিনি বিএনপিকে ধ্বংসাত্মক আন্দোলন পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে সরকার স্বাগত জানাবে। ঢিল ছোড়া, পুলিশকে উত্ত্যক্ত করা, আক্রমণ করা বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে না। সরকারের একটিই কথা, আন্দোলন যেন ধ্বংসাত্মক না হয়, মানুষের সম্পদ ও প্রাণহানি যেন না ঘটে।
বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি বিমানযোগে এক দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে রংপুরে আসেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেন, পৃথিবীজুড়ে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমাদের পণ্য আমদানি করতে ডলার খরচ হচ্ছে। তাই ডলারের ওপর চাপ পড়ছে। সেই সঙ্গে ডলারের একটু ক্রাইসিস তো আছেই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আমরা যেন একটু সাশ্রয়ী হই, কম খরচ করি। বৈশ্বিক এই সংকট সবাইকে মিলে মোকাবিলা করতে হবে।
টিপু মুনশি আরও বলেন, আমরা নিত্যপণ্যের মধ্যে তেলের দাম ঠিক করে দিয়েছি। সয়াবিন তেল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারণ করা দামে বিক্রি হচ্ছে। গ্রাম-গঞ্জের কিছু এলাকায় এর ব্যত্যয় ঘটতে পারে। এটি মনিটরিংয়ের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। আমরা ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী দামে পণ্য দিচ্ছি। এতে পাঁচ কোটি মানুষ এর সুবিধা পাচ্ছেন।
এ সময় রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, আওয়ামী লীগ নেতা সমর মহন্তসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।