নাফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন সংস্থা (বিএফআইডিসি‘র) অবসর প্রাপ্ত পরিচালক ফারুকুর রশিদ চৌধুরী (ইন্না….লিল্লাহি…রাজিউন।)
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই পুত্র এক কন্যা নাতি-নাতনি সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জনাব ফারুকুর রশিদ চৌধুরী গেল ৩ জানুয়ারী ২০২৫ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে মৌলভীবাজার লাইফ-লাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ৪ জানুয়ারী শনিবার দুপুরে গ্রামের বাড়ি নবীগেঞ্জের কামারগাঁও (নূরগাঁও) চৌধুরী পরিবারের পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
জনাব চৌধুরী পাকিস্তান আমলের শেষ দিকে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন সংস্থা (বিএফআইডিসিতে) কক্সবাজারের রামুতে একজন ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন, কর্মদক্ষতা ও সততার কারনে ধাপে ধাপে প্রমোশন লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি ওই সংস্থার মৌলভী বাজারের কুলাউরার ভাটেরা, হবিগঞ্জের রোপাইছড়া এবং খুলনাতে ম্যানেজার ও সুপারেনটেন্ডন্ট হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে ঢাকা হেড অফিস থেকে পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহন করেন।
অবসর গ্রহনের পর ব্রিটিশ কোম্পেনী ডানকান ব্রাদার্স তাঁকে কোম্পেনীর বাংলাদেশ প্রধান হিসেবে দশ বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সেখানেও তিনি দক্ষতার পরিচয় দেন। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কোম্পেনী ডানকান ব্রাদার্সের চা-এবং রাবার প্রজেক্ট গুলো তার সময়ে আলোর মুখ দেখে। আর একারনে কোম্পানি তাকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করে।
ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন খুবই অমায়িক চরিত্রের অধিকারী। অবসর-কালীন সময়ে বাসাবাড়ি শ্রীমঙ্গলে অবস্থান করলেও গ্রাম এবং এলাকার উন্নয়নে ছিলেন আন্তরিক। গ্রামের মসজিদের দায়িত্ব নিয়ে মসজিদটিকে দু‘তলায় রুপান্তর করেন। মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় চৌধুরী পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের দোয়া চেয়েছেন তার লন্ডন প্রবাসী পুত্র শোয়েব উর রশিদ চৌধুরী ও চাচাত ভাই সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, লন্ডন প্রবাসী ভাতুষপুত্র জালাল চৌধুরী, তালহা চৌধুরী, আক্তার হোসেন চৌধুরী ও হেলালুর রশিদ চৌধুরী।