জেলা জজের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিয়ে বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ বিচারকাজ বিঘ্নিত করার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২১ জন আইনজীবীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদালত অবমাননার রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে ২১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
তলব করা ২১ আইনজীবী হলেন, মো. মফিজুর রহমান বাবুল, অ্যাডভোকেট মিনহাজুল ইসলাম, এমদাদুল হক হাদি, নিজামুদ্দিন খান রানা, আনিছুর রহমান মঞ্জু, মো. জুম্মন চৌধুরী, রাশেদ মিয়া হাজারী, জাহের আলী, মো. আ. আজিজ খান, দেওয়ান ইফতেখার রেজা রাসেল, মো. ছদর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রনি, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আরিফুল হক মাসুদ, মীর মোহাম্মদ রাইসুল আহম্মেদ, মহিবুর রহমান, মো. জাকারিয়া আহমেদ, মো. মোবারক উল্লা, মো. ফারুক আহমেদ, সফিক আহমেদ ও ইকবাল।
প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি এজলাস চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর এজলাসে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। বার সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঞা, সম্পাদক প্রশাসন অ্যাডভোকেট আক্কাস আলী ও অ্যাড. জুবায়ের ইসলামসহ প্রায় আনুমানিক ১০-১৫ জন আইনজীবী আদালতকে উদ্দেশ্য করে উচ্চস্বরে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
গালিগালাজ এবং অশালীন আচরণের অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ অন্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর একটি চিঠি পাঠান বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক।
এরপর বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। পরে বিষয়টি নিষ্পিত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপনের জন্য গত ৪ জানুয়ারি পাঠিয়ে দেন। সে অনুসারে এই বেঞ্চে নথি উপস্থাপন করা হয়। এরপর হাইকোর্ট তিন আইনজীবীকে তলবের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা করেন।