প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বরিশাল-খুলনা সিটির ভোট সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি যে সার্বিকভাবে ভোটটি বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন বেশ গুরুত্ব বহন করেছে। সুশৃঙ্খল ও আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। গতকাল সোমবার খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নর জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এদিকে, বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি মিলনায়তনে স্থাপিত ২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে একই সঙ্গে ২ হাজার ৮৭১টি ভোটকক্ষ পর্যবেক্ষণ করেন সিইসির নেতৃত্বে কমিশনার, ইসির সচিবসহ সচিবালয়ের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা। প্রতি ডিসপ্লে ১০ সেকেন্ড পরপর অটো রোটেড করা হয়, যার ফলে ৪৫৮টি কেন্দ্রেরই ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে কমিশন। প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর সাংবাদিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফিং করেন ইসির সংশ্লিষ্টরা। বিকালে ভোটগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিইসি। তিনি বলেন, সুন্দরভাবে ভোট হয়েছে। খুলনায় যতটুকু তথ্য পেয়েছি, এতে ৪২ থেকে ৪৫ শতাংশ থাকার সম্ভাবনা। এটা চূড়ান্ত নয়, কম-বেশি হতে পারে। সঠিক তথ্য এখনই দিতে পারব না। বরিশালেও ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর কমবেশিও হতে পারে। আর কক্সবাজার পৌরসভায় ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান তিনি।
একটি দলের মেয়র পদপ্রার্থীকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে, তাহলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ বলা যায় কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, রক্তাক্ত… এখন সবকিছু তো আপেক্ষিক। উনি কি ইন্তেকাল করেছেন? আমরা কিন্তু রক্তক্ষরণ দেখিনি। যতটা শুনেছি, ওনাকে পেছন থেকে কেউ ঘুসি মেরেছে। আমরা ওনার বক্তব্যও শুনেছি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছি, ভোট কার্যক্রম ঐ কারণে বাধাগ্রস্ত হয়নি। তার পরও পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে দুপুরে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের গায়ে যে হাত তুলেছে, তাকে শাস্তি পেতেই হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কখনোই কাঙ্ক্ষিত ছিল না। কিন্তু একটা সিচুয়েশনের মধ্যে হঠাত্ করে একজন প্রার্থীর গায়ে হাত তুলেছে বলে আমরা জেনেছি। যারা যারা এটার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক—প্রথমে গ্রেফতার, তারপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।