বাংলাদেশের কাছে বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইনস সংস্থার ২১৪.১ মিলিয়ন ডলার বা ২১ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার পাওনা রয়েছে। সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে এসব সংস্থাগুলো ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার পাবে। এখন বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইনসের পাওনা অর্থ পরিশোধে দেশে কার্যরত সাত ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র আবুল বশর।
তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত এয়ারলাইনসগুলোর ৪০ কোটি ২১ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। তবে এয়ারলাইনসগুলোর মোট পাওনা রয়েছে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। তবে আইএটিএ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে ২১ কোটি ৪১ লাখ ডলার।
তিনি আরো বলেন, দেশের সাত ব্যাংক এসব অর্থ বকেয়া রেখেছিল । এসব ব্যাংকের অর্থ পরিশোধের সামর্থ্য রয়েছে। তাই তাদেরকে খুব শিগিগরই অর্থ পরিশোধ করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশে ডলার-সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। বাংলাদেশে টিকিট বিক্রি থেকে অর্জিত টাকা নিতে পারছে না তারা। আইএটিএ জানিয়েছে, পরিস্থিতির প্রবর্তন না ঘটলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর পক্ষে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা সম্ভব হবে না।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) হচ্ছে সারা বিশ্বের এয়ারলাইনসগুলোকে নিয়ে একটি সংস্থা। ৪ জুন সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এয়ারলাইনসের অর্থ আটকে পড়া দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।
আইএটিএ বলছে, সবচেয়ে বেশি ডলার আটকে আছে নাইজেরিয়ায়, দেশটিতে এয়ারলাইনসগুলোর ৮১২.২ মিলিয়ন ডলার আটকে আছে। বাংলাদেশ আটকে আছে ২১৪.১ মিলিয়ন ডলার, আলজেরিয়া আটকে আছে ১৯৬.৩ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানে আটকে আছে ১৮৮.২ মিলিয়ন ডলার এবং লেবাননে আটকে আছে ১৪১.২ মিলিয়ন ডলার। আইএটিএ সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারকে আন্তর্জাতিক চুক্তি ও এর বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।