জাহ্নবী কপূর আর শিখর পাহাড়িয়ার প্রেম নাকি বহু পুরনো। দীর্ঘ দিন ধরে চেনা-জানা দু’জনের। তবে জাহ্নবীর বলি-অভিষেকের সময় খানিক আলাগা হয় তাঁদের বাঁধন। শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর ফের কাছাকাছি আসেন তাঁরা। একটা সময় আড়ালে আবডালে লুকিয়ে চলছিল প্রেম। তবে চলতি বছরের শুরু থেকে যেন সাহসী হয়ে উঠেছেন জাহ্নবী। তিরুপতির মন্দির দর্শন হোক কিংবা মণীশ মলহোত্রর বাড়ির দীপাবলির পার্টি— সর্বত্র একসঙ্গে তাঁরা। এ বার ‘কফি উইথ কর্ণ’-এ এসে শিখরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করেই ফেললেন জাহ্নবী।
‘কফি উইথ কর্ণ’-এ এসে বরাবরই তারকারা তাঁদের মনের কথা খোলাখুলি বলে থাকেন। অন্তত ইঙ্গিত দিয়ে থাকেন। বহু পর্বে সঞ্চালক এবং অতিথিদের কথোপকথন শুনেই বোঝা যায়, কর্ণ তাঁর অতিথিদের ব্যক্তিগত স্তরে চেনেন বলেই অনেক প্রশ্ন অনায়াসে করতে পারেন। কিংবা কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা কিঞ্চিৎ অস্বস্তি বোধ করলেও তিনি কোনও বিশেষ বিষয়ে খুঁচিয়ে দিতে পারেন। অষ্টম সিজ়নের আগামী পর্বের অতিথি শ্রীদেবীর দুই কন্যা জাহ্নবী এবং খুশি কপূর। সেখানেই কর্ণ জাহ্নবীকে জিজ্ঞেস করেন, তাঁর ফোনের ‘স্পিড ডায়াল’-এ কারা রয়েছেন। অর্থাৎ তাড়াহুড়োর সময় বা বিপদে পড়লে বা বেশি ঘন ঘন কাদের ফোন করেন তিনি? উত্তরে জাহ্নবী বলেন, ‘পাপা, খুশু আর শিখু’। মানে তাঁর বাবা বনি কপূর, বোন খুশি এবং চর্চিত প্রেমিক শিখর। প্রেমিককে দেওয়া আদুরে নাম শুনেই বোঝা যায় তাঁদের সম্পর্ক কতটা গভীর। গত বছর এমনও শোনা গিয়েছিল যে, খুব তাড়াতাড়ি তাঁরা বিয়ে করার পরিকল্পনাও করছেন। বলিউডে তা হলে এ বছর আরও এক ‘হাই প্রোফাইল’ বিয়ে দেখা যাবে? মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের নাতি শিখর। শ্রীদেবীর মৃত্যুবার্ষিকীর পুজো থেকে অম্বানীদের গণেশপুজোর বিশর্জন— একাধিক বার একসঙ্গে দেখা গিয়েছে জাহ্নবী-শিখরকে। জাহ্নবী বরাবরই প্রেমের বিষয় একটু লাজুক। তবে এ বার বিয়ের সানাই বাজবে বলেই হয়তো তিনি আর একটু খোলাখুলি শিখরকে নিয়ে কথা বলছেন বিভিন্ন মহলে।