মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ে বিরোধী দলের যেসব নেতারা সরকারের সমালোচনা করছেন, তাদের অতিরিক্ত এক ডোজ টিকা দেওয়া হবে বলে টিপ্পনী কেটেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মঞ্জুরি দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় বিরোধী সদস্যদের সমালোচনার জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিরোধীদলের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিরোধী দলের সদস্যদের বিনামূল্যে করোনার চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয় সোমবার।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ছাটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ‘সিন্ডিকেট করে স্বাস্থ্য খাতে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই দুর্নীতির কারণে মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই খাতে সুশাসনের ঘাটতি আছে।
চিকিৎসা ব্যবস্থার সমালোচনা করে বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সরকারের ভৌত অবকাঠামোতে মনযোগ বেশি। কারণ রাজস্ব বাজেটে খুব বেশি দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। অবকাঠামোতে দুর্নীতি করা যায় আর ভৌত উন্নয়নও দেখানো যায়।’
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, ‘গত ১৩ বছরে বিভিন্ন জেলা উপজেলা হাসপাতালের জন্য হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। কিন্তু সেগুলোর ব্য
এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিনি একটি সংসদীয় কমিটি গঠন করার দাবি জানান।
করোনার টিকার ব্যবস্থা করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের মিঠু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা তিনি জানেন না ‘
এই বক্তব্যের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, তিনি অনেক দিন ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কাজ করছেন। কিন্তু মিঠু নামে কোনো লোককে দেখেননি।
বিএনপির সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দল অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেন। সংসদ সদস্যরা অনুরোধ করছেন, বিরোধী দলের সদস্যদের করোনার আরেকটি ডোজ টিকা দেওয়া হোক। তৃতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের বিনামূল্যে চতুর্থ ডোজের টিকারও ব্যবস্থা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ব্যর্থ দেখাতে পারলে তারা সরকারকেও ব্যর্থ দেখাতে পারবেন, এটাই হল তাদের লক্ষ্য।’বক্তব্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা ও টিকার ব্যবস্থা করা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ বিস্তারিত তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হল তা কেউ জানতে চান না। এ বিষয়ে প্রশংসার বাণী কখনও পাইনি।’