বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে এই উদ্বেগ জানান।
এ সময় তিনি বলেন, বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
নেড প্রাইস বলেন, “আইনের শাসনের প্রতি সম্মান দেখাতে এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে আমরা সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাই।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র আরও বলেন, “কোনও রাজনৈতিক দল কিংবা প্রার্থীকে হুমকি, উসকানি অথবা এক দল আরেক দল বা প্রার্থীর ওপর যাতে সহিংসতা ঘটাতে না পারে, বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।”
বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এই মুখপাত্র বলেন, “অর্থপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে হলে সহিংসতা, হয়রানি ও নির্ভয়ে ভোটারদের সঙ্গে প্রার্থীদের জনসংযোগ করার সুযোগ করে দিতে হবে। একই সঙ্গে সহিংসতার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং এসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারকে উৎসাহীত করছি।”
এ সময় বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নেড প্রাইস বলেন, “সম্প্রতি পিনাকী ভট্টাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা নিয়ে আমরা অবগত আছি। এ আইন নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা আমরা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি। আমাদের মানবাধিকার প্রতিবেদনেও আমরা এ নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের উদ্বেগ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনাও হয়েছে।”
তিনি বলেন, “মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধ হিসেবে দেখা যাবে না। এটিকে চাপ বা ভয় দেখানোর কৌশল হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে না। বাংলাদেশে ভীতি প্রদর্শন ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। স্বাধীন মতপ্রকাশ, সমবেত হওয়ার ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মতো মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”