কাতার বিশ্বকাপে তারকার সম্মান পাচ্ছেন ব্রাজিলের রিচার্লিসন। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে সাইডভলিতে তার অনবদ্য গোল রাতারাতি প্রচারের আলোয় নিয়ে এসেছে তাকে। চলছে তার গোলের নানা বিশ্লেষণ। ফুটবলপ্রেমীরা সময় পেলেই দেখে নিচ্ছেন তার বিখ্যাত হয়ে যাওয়া গোলটির ভিডিও। ব্রাজিল স্ট্রাইকারের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছেন এক সুন্দরী। যদিও সেই তরুণীর সঙ্গে আলাপ নেই তার।
একজন সফল পুরুষের পেছনে থাকে একজন নারীর ভূমিকা। রিচার্লিসনের সাফল্যের নেপথ্যও রয়েছেন তেমনই একজন। এই তথ্যের মধ্যে বিস্ময় নেই। আবার রয়েছেও। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহ্যামের এই ফুটবলারের অনুপ্রেরণা ১৭ বছরের এক কিশোরী ক্যাট ডান্টাস। আদতে টিকটক খ্যাত। ব্রাজিলের কিশোরী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও যথেষ্ট পরিচিত। নানা রকম অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। ইউটিউবে তার ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ। আর টিকটকে ২১ লাখ। সেই তালিকায় রয়েছেন রিচার্লিসনও। ক্যাটের অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও দেখেন নিয়মিত। ছন্দে না থাকলে বা কোনো ম্যাচে খারাপ খেললে বাড়ি ফিরে ক্যাটের ভিডিও দেখে, তার কথা শুনে নিজেকে পরের ম্যাচের উদ্বুদ্ধ করেন ২৫ বছরের স্ট্রাইকার।
সেই ক্যাট মুগ্ধ সার্বিয়ার বিরুদ্ধে রিচার্লিসনের জোড়া গোল দেখে। ম্যাচ চলাকালীনই টিকটকে তিনি বলেছেন, ‘রিচার্লিসন ভীষণভাবে আমার নিজের। আমি ওকে বিয়ে করতে চাই।’
পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘রিচার্লিসনের ছবি আমার ফোনের ওয়ালপেপার করছি। ওর নাচের ছবিও রাখব ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি হিসাবে। আমি ওকে ভালোবাসি।’
ক্যাট জানতেন না রিচার্লিসন রয়েছেন তার ফলোয়ারদের মধ্যে। অন্যদের থেকে বিষয়টি জেনে নিজের উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি। ক্যাট বলেছেন, ‘হে ঈশ্বর, রিচার্লিসনও আমাকে অনুসরণ করে! তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।’
রিচার্লিসনের খেলায় এতটাই মজেছেন ক্যাট যে তড়িঘড়ি কাতার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাঠে বসে দেখতে চান নিজের স্বপ্নের পুরুষের খেলা। দেখা করে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চান জাতীয় দলের স্ট্রাইকারকে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রিচার্লিসনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তার বান্ধবীর। সে খবরও অজানা নয় ক্যাটের।
সান্দ্রি অলিভেরার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে বিশ্বকাপের আগে টটেনহ্যাম স্ট্রাইকার বলেছিলেন, ‘আমাকে এমন কিছুর জন্য অভিযুক্ত করা হচ্ছে, যা আমি করিনি। আমরা ডেটিং করতাম। ও আমার কাছ থেকে নানা জিনিস দাবি করত। আমি সঠিক কারণ জানার চেষ্টা করতাম। দিন দিন ওর চাহিদা বেড়েই যাচ্ছিল। সেটা আমার একদমই পছন্দ হচ্ছিল না। দু’জনে আলোচনা করেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিছু ভুল করে থাকলে, শুনতে রাজি আছি। তবে এসব মনে রাখতে চাই না। অবিচার একদম মেনে নিতে পারি না আমি।’