১৯৩০ থেকে শুরু করে বিশ্বকাপের ইতিহাস দাঁড়িয়েছে আজ ৯২ বছরে। ২০৩০ সালেই অনুষ্ঠিত হবে শতবর্ষী বিশ্বকাপ। তার আগে এই ৯২ বছরের ইতিহাসে যা হয়নি কখনও সেটিই এবার করে দেখিয়েছে ইকুয়েডর। ৯২ বছরে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হারের লজ্জার রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে স্বাগতিক কাতার।
রোববার (২০ নভেম্বর) আল-বায়াত স্টেডিয়ামে ২২তম বিশ্বকাপের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়েই নতুন করে ইতিহাস লিখেছে লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর। ইকুয়েডরের হয়ে দুইটি গোলই করেছেন অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়া।
আল-বায়ত স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বজায় রেখেছে ইকুয়েডর। ম্যাচের মাত্র ৫ মিনিটের মাথাতেই কাতারের জালে বল জড়ান ভ্যালেন্সিয়া। তবে ভিএআর চেকে অফসাইড ধরা পড়লে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। এরপর অবশ্য গোল পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ১৬ মিনিটেই স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে আসরের প্রথম গোল করেন ইকুয়েডরের অধিনায়ক। ডি বক্সে ভ্যালেন্সিয়াকে ফাউল করার কারণে হলুদ কার্ড দেখেন কাতারের গোলরক্ষক। পেনাল্টি থেকে গোল করে ইকুয়ডরকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন ভ্যালেন্সিয়া নিজেই।
এক গোলে এগিয়ে থেকে স্বাগতিকদের ওপর আরও চড়াও হয় ইকুয়েডর। কাতারের গোলপোস্টে একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে ইকুয়েডর। ম্যাচের ৩১ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় ইকুয়েডর,নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। ডান প্রান্ত থেকে বাড়ানো বলে হেড করে কাতারের জালে বল জড়ান ইকুয়েডর অধিনায়ক।
প্রথমার্ধের শেষদিকে একটি গোল শোধ দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল কাতার। কিন্তু বক্সে দারুণ এক ক্রস পেয়েও মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন আল মোয়েজ। ঠিকঠাক মাথাটা ছোঁয়াতে পারলেই তার সামনের ফাঁকা জালে জড়িয়ে যেতো বল।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলো স্বাগতিক কাতার। তবে পেরে উঠেনি ইকুয়েডরের সঙ্গে। অন্যদিকে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেছে ইকুয়েডর। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি তারাও। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইকুয়েডর।
ইকুয়েডরের এই ২-০ গোলের জয়েই বদলে গিয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাস। এর আগের ২১ আসরের কোনটিতেই নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারেনি স্বাগতিকরা, ২১ বারের ১৫ বার্রই জয় তুলে নিয়েছিলো স্বাগতিক দল, আর ৬ বার করেছিলো ড্র। এবার প্রথমবারের মতো স্বাগতিক হিসেবে হারের রেকর্ডে নাম তুললো কাতার।