নানা জল্পনার পর ফের বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হলেন সাকিব আল হাসান।
শনিবার বিকেলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের গুলশানের বাসায় সাকিবের সাথে বোর্ড কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে ক্রিকেট অপারেন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস একথা জানান।
তিনি জানান,আসন্ন এশিয়া কাপে সাকিবের নেতৃত্বে খেলতে যাবে বাংলাদেশ।এছাড়া ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও লাল-সবুজের কান্ডারি হিসেবে থাকছেন টাইগার এ অলরাউন্ডার।
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর,মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে হতশ্রী দশা যেন কাটছিলই না বাংলাদেশের।আর তাই নতুন অধিনায়কের খোঁজে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।যদিও মাহমুদউল্লাহর জায়গায় বিসিবির প্রথম পছন্দ ছিল বরাবরই সাকিব আল হাসান।কয়েদিন আগে টেস্টের নেতৃত্ব পাওয়া সাকিবের হাতেই টি-টোয়েন্টির গুরুদায়িত্ব তুলে দিতে চেয়েছিল বোর্ড।কিন্তু সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে দেশসেরা এ ক্রিকেটার ছুটিতে থাকায় টি-২০’র নেতৃত্ব সামলান নুরুল হাসান সোহান।তবে সেই সোহানও এখন ইনজুরিতে।
আর তাই আসন্ন এশিয়া কাপে দলের নেতৃত্ব কে সামলাবেন তা নিয়ে ছিল জোর জল্পনা।কারণ বেটিং প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিতে জড়িয়ে নতুন বিতর্কে সাকিব।যদিও শেষ পর্যন্ত চুক্তি থেকে সরে আসায় যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে বিসিবি।শুক্রবার (১২ আগস্ট) মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর শনিবার (১৩ আগস্ট) বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে তার গুলশানস্থ বাসভবনে বৈঠকে বসেন সাকিব।তারপরই জানানো হলো নেতৃত্ব পাওয়ার বিষয়টি।
বাংলাদেশের হয়ে এখনো পর্যন্ত ৯ জন ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।যাদের মাঝে ৫ জন পেয়েছিলেন স্থায়ী অধিনায়কত্ব।২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন শাহরিয়ার নাফিস।ওই একটি ম্যাচেই নেতৃত্ব দেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান,জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতিয়েছেন দলকে।এর বাইরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।৪৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জেতান ১৬ ম্যাচে।অফ ফর্মের কারণে নেতৃত্বটা হারালেন তিনি।মাশরাফি বিন মুর্তজা ২৮ ম্যাচে জয় এনে দেন ১০টিতে।মুশফিকুর রহিম ২৩ ম্যাচে ৮,সাকিব আল হাসান ২১ম্যাচে ৭ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ১১ ম্যাচে ২ জয়ের দেখা পান।একটি করে ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন লিটন দাস ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।দুজনের নেতৃত্বেই হেরেছে দল। নুরুল হাসান সোহান দুই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে জিতিয়েছে একটিতে।
এর আগে ২০০৯ সাল ও ২০১৭ সালে এই ফরম্যাটে অধিনায়ক হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।তার অধীনে ২১ ম্যাচে ৭টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।যদিও সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থওতার পাল্লা ভারী।২১ ম্যাচের ১৪টিতেই হারের মুখ দেখতে হয়েছিল সাকিবকে।এবার দেখার বিষয় তৃতীয় মেয়াদে সাফল্যের পাল্লা আরো কতখানি বাড়াতে পারেন তিনি।