পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করলে দুই যুগেও সেতুর কাজ শেষ হতো না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।সোমবার রাজধানীর বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রচিত ‘বাংলাদেশের ৫০ সাফল্য সম্ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন প্রত্যাহার করায় আমাদের স্বপ্নের সেতু দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা মনোবলের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু যেমন বিশ্বে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে তেমনি নিরাপদও হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক যদি সেতুতে অর্থায়ন করতো তাহলে তাদের মনমতো কাজ করতে হতো। ডিজাইন পরিবর্তন, টেকনিক্যাল সমস্যা, এখানে এই সমস্যা বলে তাদের মতামত চাপিয়ে দিতো। না করলে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য করতো। এতে অনেক সময় অপচয় হতো।
মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে যেসব দেশ ও সংস্থা অর্থায়ন করে তাদের আমরা দাতা দেশ বা দাতা সংস্থা বলে থাকি। এটি ঠিক নয়। এসব দেশ ও সংস্থা আমাদের লোন দেয়, দান করেন না। এটি লাভসহ ফেরতযোগ্য। তাই তারা দাতা নয়; বরং উন্নয়ন সহযোগী। অথচ তাদের আমরা ভুল করে করে দাতা বলি, যা উচিত নয়।
করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠুভাবে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করায় দেশ বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বইটি রচনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং প্রকাশনা ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ড. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, এ বি ব্যাংক লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল বক্তব্য রাখেন।