“হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গ্রাম মুক্তাহার। এই গ্রামে প্রতিষ্ঠিত গ্রন্থাগার ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’ মুক্তাহার গ্রামকে আলোকিত করার পাশাপাশি জাতীয়ভাবে আলো ছড়াচ্ছে। এর সুফল পাচ্ছেন এলাকাবাসী।”
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত জাতীয়ভিত্তিক গ্রন্থপাঠ কার্যক্রম-২০২৫ এ অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র বিতরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-কলেজ পরিদর্শক মো: সোয়েব আহমেদ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
গত বুধবার (১১ জুন) বিকালে গ্রন্থাগারের প্রধান উপদেষ্টা ও অবসরপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা রত্না দাশের সভাপতিত্বে এবং গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি রত্নদীপ দাস রাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ৭নং করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন, দিনারপুর কলেজের অধ্যক্ষ তনুজ রায়, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান মো: মোতাহের তরফদার, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পজীপ) সাকিল আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগারের উপদেষ্টা রাসমোহন দাশ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আইডিয়াল ল্যাবরেটরী হাইস্কুলের সভাপতি সলিল বরণ দাশ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম মুজিবুর রহমান। মূল্যায়ণকারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হাজী আঞ্জব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল করিম চৌধুরী জানু ও নবীগঞ্জ উপজেলা স্কুলের অধ্যক্ষ কাঞ্চন বণিক।
গ্রন্থাগারের সনাতন-দীননাথ পাঠকক্ষে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- গ্রন্থাগার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য গৌতম দাশ, পাঠক ফোরামের সভাপতি দেবাশীষ দাশ রতন, সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ দাশ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয় দাশ, সদস্য সাগর দাশ, জনি দাশ, অনিক দাশ, গোপাল দাশ জিৎ, দীপ শেখর দাশ, ক্রীড়া ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রিপন দাশ প্লাবন প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত সারাদেশের ৪০টি বেসরকারি পাঠাগারকে নিয়ে জাতীয়ভিত্তিক গ্রন্থপাঠ কার্যক্রম-২০২৫ এ ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’-এর ৩০ জন পাঠক অংশগ্রহণ করেন। এ থেকে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরীতে ১ জন করে মোট ২ জন পাঠক সেরা পাঠক নির্বাচিত হন এবং ১ জন পাঠক ‘সেরাদের সেরা পাঠক’ হিসেবে সেরা ১০ এ ২য় স্থান অর্জন করে বিগত ২৯ মে তারিখে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালকের হাত থেকে দশ হাজার টাকা নগদ অর্থ, পাঁচ হাজার টাকার সমমূল্যের বই ও সনদপত্র গ্রহন করেন। আজকের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরীতে ৫ জন করে মোট ১০ জনকে সনদপত্র ও ৩০ জনকে সংবর্ধনা স্মারক প্রদান করা হয়।