দেশি-বিদেশি জাহাজে পণ্য ওঠানামা ব্যাহত * জলাবদ্ধতা, চরম দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ * উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে জেলে নৌকা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মোংলা বন্দরসহ তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় তিন-চার দিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। উপকূল ও মোংলাবন্দর এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে মোংলার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। এতে মোংলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে অনেকে। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ অবস্থান করছেন।
এদিকে চলতি অমাবস্যা তিথির প্রভাবে মোংলা ও পশুর নদের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ফুট বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে রাস্তা ও বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি। পশুর নদীর পাড়ের এলাকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় তারা আশপাশে অন্যের বাড়িঘর ও রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে।
জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া সাধারণ মানুষ বৃষ্টিতে বিপাকে পড়ে। এ ছাড়া বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষও। মোংলার কুমারখালী এলাকার ভ্যানচালক নজরুল বলেন, বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রী কম পাওয়া যাচ্ছে। বন্দর এলাকার ভ্রাম্যমাণ পান সিগারেট বিক্রেতা নুর মিয়া বলেন, বৃষ্টি হলে মানুষজন রাস্তায় থাকে না। এতে বিক্রি অনেক কমে যায়। বৃষ্টির সময় দোকানের আয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মোংলা পৌর শহরের কুমারখালীসহ শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি আটকে ঢুকে পড়ছে ঘরবাড়িতে। এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় কোথাও কোথাও দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মোংলা নদীর ফেরিঘাটসহ আশপাশের নিচু এলাকাও তলিয়ে গেছে। পানি বাড়ায় ফেরিঘাটের পন্টুন ও রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি ভিড়তে এবং যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘœ ঘটছে। জোয়ারের সময় ঝুঁকি নিয়ে চলছে ফেরি ও যানবাহন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন জানান, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে এ বন্দরের পশুর চ্যানেলে ও হারবাড়িয়ায় অবস্থান করা বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাস-বোঝাই কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে বন্দরের জেটিতে পণ্য ওঠানো-নামানো স্বাভাবিক রয়েছে।
সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, সমুদ্র উত্তাল থাকায় গভীর সমুদ্র এবং সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে অবস্থানকারী মাছ ধরার ট্রলারসহ জেলেরা সুন্দরবনসংলগ্ন চরাঞ্চলের বিভিন্ন খালে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন।
সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মোংলা বন্দরসহ তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় তিন-চার দিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। উপকূল ও মোংলাবন্দর এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে মোংলার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। এতে মোংলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে অনেকে। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ অবস্থান করছেন।
এদিকে চলতি অমাবস্যা তিথির প্রভাবে মোংলা ও পশুর নদের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ফুট বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে রাস্তা ও বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি। পশুর নদীর পাড়ের এলাকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় তারা আশপাশে অন্যের বাড়িঘর ও রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে।
জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া সাধারণ মানুষ বৃষ্টিতে বিপাকে পড়ে। এ ছাড়া বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষও। মোংলার কুমারখালী এলাকার ভ্যানচালক নজরুল বলেন, বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রী কম পাওয়া যাচ্ছে। বন্দর এলাকার ভ্রাম্যমাণ পান সিগারেট বিক্রেতা নুর মিয়া বলেন, বৃষ্টি হলে মানুষজন রাস্তায় থাকে না। এতে বিক্রি অনেক কমে যায়। বৃষ্টির সময় দোকানের আয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মোংলা পৌর শহরের কুমারখালীসহ শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি আটকে ঢুকে পড়ছে ঘরবাড়িতে। এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় কোথাও কোথাও দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মোংলা নদীর ফেরিঘাটসহ আশপাশের নিচু এলাকাও তলিয়ে গেছে। পানি বাড়ায় ফেরিঘাটের পন্টুন ও রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি ভিড়তে এবং যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘœ ঘটছে। জোয়ারের সময় ঝুঁকি নিয়ে চলছে ফেরি ও যানবাহন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন জানান, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে এ বন্দরের পশুর চ্যানেলে ও হারবাড়িয়ায় অবস্থান করা বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাস-বোঝাই কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে বন্দরের জেটিতে পণ্য ওঠানো-নামানো স্বাভাবিক রয়েছে।
সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, সমুদ্র উত্তাল থাকায় গভীর সমুদ্র এবং সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে অবস্থানকারী মাছ ধরার ট্রলারসহ জেলেরা সুন্দরবনসংলগ্ন চরাঞ্চলের বিভিন্ন খালে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন।