বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে বোলিংয়ে নেমেছিলো বাংলাদেশ। খেলা শুরুর পর পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে গিয়ে বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। প্রায় মিনিট পনের পর বৃষ্টি থেমে গেলে আবারও মাঠে নেমেছে দুই দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজুড়েই এব আর যেন খেলার চেয়ে বৃষ্টি নিয়েই আলোচনা বেশি। বাংলাদেশ-দক্ষিন আফ্রিকার ম্যাচেও বাধ সেধেছিলো বেরসিক বৃষ্টি, তবে সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে বোলিংয়ে নামে সাকিব আল হাসানের দল। প্রথম ওভারেই প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে ফিরিয়ে বাংলাদশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। তবে এরপর আর তেমন সুবিধা করতে পারেননি অবশ্য।
প্রথম ওভারেই উইকেট নেওয়ার পর আর দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটারদের তোপের মুখেই পড়ে বাংলাদেশ। কুইন্টন ডি কক আর তিনে নামা রাইলি রুশো মিলে তান্ডব চালিয়েছেন টাইগার বোলারদের ওপর। বাংলাদেশের কোনো বোলারই থামাতে পারেনি প্রোটিয়া ব্যাটারদের তান্ডব, বরং বৃষ্টি এসেই থামিয়েছে তাদের।
মিরাজের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন ডি কক। তারপর থেকে যেন খাপখোলা তলোয়ারের মত চলেছে ডি কক-রুশোর ব্যাট।
প্রথম ওভারে উইকেট তুলে নিলেও তাসকিনের করা তৃতীয় ওভার থেকেই ২১ রান তুলেছেন দুই ব্যাটার মিলে। চতুর্থ ওভারে হাসান মাহমুদ বোলিংয়ে এসেও সুবিধা করতে পারেননি তেমন।
মিরাজের করা পঞ্চম ওভার থেকে দুই ছক্কায় রুশো একাই তুলেছেন ১৪ রান। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারের প্রথম তিন বল খেলা হওয়ার পরি এসসিজির আকাশজুড়ে বৃষ্টি নামায় বন্ধ হয়ে যায় খেলা।
বৃষ্টির আগে ৫.৩ ওভারে ১ উইকেটেি ৬০ রান তুলে ফেলে দক্ষিন আফ্রিকা। কুইন্টন ডি কক ১২ বলে ২১ রানে আর রাইলি রুশো ১৭ বলে ৩৫ রান নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন দুজন।
বৃষ্টির কারণে প্রায় মিনিট পনের মতো বন্ধ থাকার পর আবার খেলা শুরু হলে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৬৩ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।