না, পরশু ফিরতি লেগে জয় পায়নি ইন্টার মিলান। বেনফিকাও পারেনি রূপকথার গল্প লিখতে। তবে ইন্টার মিলানের ঘরের মাঠ সান সিরোর ফিরতি লেগটা লড়াইটা হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। দারুণ লড়াইয়ের ম্যাচটা শেষ হয়েছে ৩-৩ গোলে। তবে এই ড্রটাও ইন্টার মিলানের জন্য ছিল জয়ের মতোই। ম্যাচ শেষে ইন্টার মিলানের খেলোয়াড়েরা জয়ের উল্লাসই করেছে। এই ড্রয়ের সুবাদে দুই লেগ মিলিয়ে যে ৫-৩ অগ্রগামিতায় সেমিফাইিনালে পা রেখেছে ইন্টার মিলান। সুতরাং উদযাপন তো জয়ের মতো হবেই।
বেনফিকার স্বপ্ন চুরমার করে ইন্টার মিলান সেমিফাইনালে উঠে আরও একটি ঘটনার জন্ম দিয়েছে। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটা সেমিফাইনালকে তারা বানিয়ে ফেলল মিলান ডার্বি। চাইলে সেটাকে ইতালিয়ান ডার্বিও বলতে পারেন। সেমিফাইনালে যে ইন্টার মিলানের প্রতিপক্ষ তাদেরই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলান। ইন্টার মিলান ও এসি মিলান, শুধু একই শহরের ক্লাব নয়, ক্লাব দুটি ব্যবহারও করে একই মাঠ। মানে দুই মিলানের মাঠ একটাই—সান সিরো। এসি মিলান আগের দিনই স্বদেশি ক্লাব নাপোলিকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে রেখেছিল।
পরশু ইন্টার টিকিট কাটায় নিশ্চিত হয়ে যায় মিলান ডার্বি। সেমিফাইনালে দুই ইতালিয়ান ক্লাবের মুখোমুখি হওয়ার অর্থ, ইতালির একটা ক্লাব ফাইনালে উঠছেই। সেই ক্লাবটি ইন্টার মিলান নাকি এসি মিলান, সেটা জানা যাবে আগামী ১৬ মে। সে দিনই যে দুই দলের সেমিফাইনাল দ্বৈরথের দ্বিতীয় লেগ। দুই দলের প্রথম লেগটি হবে ১০ মে। রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যকার অন্য সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ৯ মে, দ্বিতীয় লেগ ১৭ মে।
বেনফিকার মাঠের প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতেছিল ইন্টার মিলান। ফলে পরশু ঘরের মাঠের ফিরতি লেগে ০-১ গোলে হারলেও তাদের চলতো। কিন্তু ইন্টার হারেনি। হারের শঙ্কাও জাগেনি। বরং ১৪ মিনিটে গোল করে ইন্টার মিলানকেই প্রথম এগিয়ে দেন নিকোলা বারেল্লা। লড়াই জমিয়ে তুলতে ৩৮ মিনিটে বেনফিকাকে সমতায় ফেরান ফ্রেড্রিক আর্সনেস। এরপর দুই আর্জেন্টাইনের গোলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে ইন্টার মিলান। ৬৫ মিনিটে লাওতারো মার্টিনেজ ও ৭৮ মিনিটে হুয়াকিম কোরেয়ার গোলে ইন্টার মিলান যে এগিয়ে যায় ৩-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ইন্টারের অগ্রগামিতা তখন ৫-১ গোলে। পরে দুই গোল করে বেনফিকা শুধু অগ্রগামিতার ব্যবধান কমাতে পেরেছে। ৮৬ মিনিটে বেনফিকার হয়ে দ্বিতীয় গোলটা করেন অ্যান্তোনিও সিলভা, যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ম্যাচের সমতাসূচক তৃতীয় গোলটি করেন পিটার মুসা।