ব্যাংক খাতে দেশের সবচেয়ে বড় অপরাধ হচ্ছে’মন্তব্য করে হাইকোর্ট বলেছেন,সবচেয়ে সাংঘাতিক ক্রাইম হচ্ছে ব্যাংকে।দেশটাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে।এভাবে চললে দেশ এগোবে কীভাবে?
বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার ইসলামী ব্যাংকের চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ শাখার চার ব্যাংক কর্মকর্তার ঋণ জালিয়াতি-সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় আগাম জামিন প্রশ্নে শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন।পরে আদেশে ওই চার কর্মকর্তার আগাম জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আসামিদের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেন,আপনাদের ভেতরে (জেলে) পাঠাতাম,তবে টাকার পরিমাণ কম হওয়ায় আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
আসামিরা হলেন – ব্যাংকটির শিবগঞ্জ শাখার ব্রাঞ্চের প্রধান আফজাল হোসেন,ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মনিরুজ্জামান খান,প্রাক্তন বিনিয়োগ ইনচার্জ আবু বকর,ব্যাংকটির কনিষ্ঠ কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম।মামলায় উল্লেখিত ৫ আসামির মধ্যে বরখাস্তকৃত এসবিআইএসও ফয়েজুর রহমান আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেননি।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী ফৌজিয়া আক্তার পপি।অন্যদিকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড.মাহবুব মর্শেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়,দুদকের রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গত ২০ মার্চ ইসলামী ব্যাংকের শিবগঞ্জ শাখায় ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী।
মামলায় বলা হয়,ইসলামী ব্যাংকের শিবগঞ্জ শাখা থেকে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া ঋণ হিসাব খুলে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে আত্মসাত করেছেন।এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯,৪২০,৪৬৭,৪৬৮,৪৭১ ও ১০ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।